প্রবাসী
আজ দু’ দিন হল আমি গৃহবন্দী। কোন রাজনৈতিক নেতা না হয়েও কেন গৃহবন্দী হলাম বা কবে যে এ দুর্দশা থেকে মুক্তি পাব তা একমাত্র টোরোন্টো আবহাওয়া দপ্তরই ভাল জানেন। প্রচন্ড শীতে জবুথবু অবস্থা। আজ তিন চার দিন হল টোরোণ্টো সিটি কর্তৃপক্ষ অত্যাধিক শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করে রেখেছেন । “হাড় কাপানো শীত” প্রবাদ বাক্যের আবিস্কারক যে কোনদিন কানাডায় আসেননি তা আমি হলফ করে বলতে পারি কারন কানাডার শীত শুধুমাত্র হাড় কাপিয়েই ক্ষান্ত হয় না, হাড়ের ভিতরের অস্থিমজ্জাকেও কাঁপিয়ে ছাড়ে।
গত পরশুদিন একবার সাহস করে বাইরে বেরিয়েছিলাম। আপাদমস্তক চার পাঁচ স্তরের জামাকাপড় দিয়ে ঢেকে দেড় কিলোগ্রাম ওজনের বরফের বুট জুতা পরে যখন বাইরে রওয়ানা দিচ্ছিলাম এলিভেটরের আয়নায় নিজেকে দেখে মনে হয়েছিল নেইল আর্মস্ট্রং এর আত্মীয় । এখন হিমাঙ্কের আঠারো ডিগ্রী নীচের তাপমাত্রায় বাইরের বরফ জমে গিয়ে কাঁচের মতই মসৃন, এখানকার ভাষায় যা কিনা ব্লাক আইস। আইস স্কেটিং এর জন্য এ বরফ যতটা উপযোগী পদচারনার জন্য ঠিক ততোটাই ঝুকিপূর্ন। সামান্য অসবাধানতায় ধরনীতলে প্রপাত এবং অস্থি ভঙ্গের সম্ভাবনা যথেস্ট।
পনের দিন আগের রাম আছাড়ে ডান হাটুতে যে চোট লেগেছিল তা এখনো মাঝে মাঝেই জানান দিচ্ছে। এ অবস্থায় বাইরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। সুতরাং খোশ গল্প করে সময়টা কাটাই।
নস্টচন্দ্রঃ-
১) গুরুদাস ভট্টচার্য্যঃ- আমার ছেলেবেলা অর্থাৎ দশম শ্রেনী পর্যন্ত কেটেছে গ্রামে। আমাদের গ্রাম ছিল হিন্দু অধ্যুষিত, অধিকাংশ পরিবার ছিল সচ্ছল এবং শিক্ষা দীক্ষায়ও আশে পাশের গ্রামগুলো থেকে এগিয়ে।
বারো মাসে তের পার্বনের কারনে পূজা পার্বন লেগেই থাকত। এমনি এক পার্বন ছিল নস্টচন্দ্র। কার্তিক মাসের কোন এক তিথিতে গৃহস্থের ফলমুল চুরি করা এই দিন ছোট ছোট ছেলেদের জন্য ছিল অবারিত এবং তা গুরুতর অপরাধের মধ্যে পড়ত না। শশা, আখ, ডাব, লেবু পেয়ারা ইত্যাদি ফল চুরি করার অধিকার ছিল আমাদের। গৃহস্থেরা খুব একটা বেশী এ নিয়ে অভিযোগও করতেন না, বরং মজাই পেতেন।
দু’একজন অবশ্য ছিলেন ত্যাদড় মার্কা। আমাদের ন্যায্য হকে প্রায়ই বাধ সাধতেন তারা। গ্রামের পুরুত ঠাকুর গুরুদাস ভট্টাচার্য্য ছিলেন এমনই একজন। আমরা তাকে ডাকতাম পিশেমশাই । পিশেমশাইয়ের ছেলেমেয়েরা ভারতে থাকার কারনে উনি একাই গ্রামে থাকতেন।
পিশে মশাইয়ের কয়েকটা গুরুত্ব পূর্ন ফল মুলের গাছ ছিল যার মধ্যে পেয়ারা গাছ অন্যতম। বেশ বড় সে পেয়ারা গাছ। সে গাছের মত রসালো এবং বড় পেয়ারা গ্রামে আর ছিল না আর গাছটা ছিল ঘরের একেবারেই কাছে। সে গাছ থেকে পেয়ারা চুরি করা সহজ ব্যাপার ছিল না। গাছে ফাটা বাঁশে লম্বা দড়ি বেধে ঠক ঠক শব্দ করে ঘরের ভিতর থেকেই পেয়ারা গাছ থেকে বাদুর তাড়াতেন তিনি।
রাতে মাঝে মাঝেই সে বাঁশের ঠক ঠক আওয়াজ শুনতাম। নস্টচন্দ্রের দিনে চুরি করার জন্য আমাদের একটা টীম ছিল। টীম ওয়ার্ক ছাড়া এ কাজ সম্পন্ন করা ছিল ঝুকি পূর্ন। ফুটবল খেলার মত সে টীমের সদস্যদের নির্দিস্ট দায়িত্ব দেওয়া হত। একজন গাছে উঠত ফল পাড়ার জন্য, দুই তিনজন গাছতলায় দাড়িয়ে সে ফল সংগ্রহ করত আর দুই তিন জন আশে পাশে পাহারায় থাকত।
কোন বিপদ দেখা দিলে বাশী বাজিয়ে সতর্ক করে দিত পাহারাদাররা আর সটকে পড়তাম সবাই। আমরা দুই ভাই,শম্ভু, ভক্ত,তপন , রঞ্জিৎ, আশীষ, বলাই কে নিয়ে ছিল আমাদের ছোট টীম। টীমের কোচ ছিলেন মনাদা এবং শ্যামলদা। তারা আমাদের দায়িত্ব বন্টন করতেন এবং কর্তব্য সম্পর্কে উপদেশ দিতেন। অত্যন্ত কঠোর ছিল এ টীমের নিয়মাবলী যেমন ১) গাছে উঠতে পারদর্শী হতে হবে, ২) দায়িত্ব পালনে না বলা যাবে না ৩) কোন সদস্য ধরা পড়লে বাকীদের নাম প্রকাশ করা যাবে না ইত্যাদি।
নস্টচন্দ্রের দিন রাত দশটার দিকে সবাই সমবেত হতাম শতাধিক বছরের পুরোনো বটগাছতলায় যা স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিল কালিতলা হিসেবে। দায়িত্ব পালন শেষে সবাই ফিরে আসতাম এখানেই এবং তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করতাম। সে বছর নস্টচন্দ্রে আমার উপর দায়িত্ব পড়ল পিশেমশাইয়ের গাছ থেকে পেয়ারা চুরি করার। গাছে ভালই উঠতে পারতাম সুতরাং দায়িত্ব পালনে বিন্দু মাত্র গাফিলতি না করে কর্মক্ষেত্রে পৌছে গেলাম। বেশ কিছু পেয়ারা যোগাড়ও হল।
আমি গাছে থাকতেই পিশেমশাই বাশের ঠক ঠক শু্রু করলেন। ধরা পড়ার ভয়ে তাড়তাড়ি নামতে গিয়ে মাটির পাঁচ ছয় ফুট উপরে থাকতেই পড়ে গেলাম গাছতলায়। পা না ভাংলেও বেশ ব্যাথা পেলাম। সেই অবস্থাতেই খোড়াতে খোড়াতে পাশের পাটের ক্ষেতে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করতে সমর্থ হলাম। এরপর সবাই জড় হলাম কালিতলায়।
কালিতলার সে সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হল আমাদের চুরি করার ন্যায্য অধিকারে হস্তক্ষেপ অত্যন্ত অন্যায়, এর একটা বিহিত করা দরকার। ঘুম থেকে তুলে আনা হল উপদেস্টাদের । শ্যামলদা পিশে মশাইকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার উপায় বাতলালেন, তা হল- পিশে মশাইয়ের বারান্দায় মল নিক্ষেপ করতে হবে। মুশকিল হল মল যোগাড় করা। বেশ বড় আকারের মানকচু পাতা কেটে আনা হল।
আমরা চার পাঁচ জন কচু পাতার উপর মলত্যাগের আপ্রান চেস্টা চালালাম। শুধুমাত্র আমি মলত্যাগে সফল হলাম। সফল ব্যাক্তি হিসেবে আমার উপরে দায়িত্ব পড়ল তা পিশেমশাইয়ের বারান্দায় রেখে আসার। ঘরের সিড়িতে সে মল রেখে এসে দায়িত্ব পালন করলাম। আমার এই সাফল্য আমার জন্য কাল হয়ে দাড়াল।
চুরি করার মিশন শেষ করে ভোরে এসে ঘুমালাম। ঘুমিয়েছি দু’তিন ঘন্টা হয়েছে কি হয় নি বাবা এসে ডেকে তুললেন। কি ব্যাপার? পিশে মশাইয়ের বারান্দায় মলত্যাগ করেছে কে? আমরা দুই ভাই সরাসরি অস্বীকার করলাম। পিশেমশাইয়ের সাথে বাবার বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। অতঃপর বাবা আদেশ দিলেন “ কে এ কাজ করেছে তা শুনতে চাই না, এক্ষনি গিয়ে পরিস্কার করে আয়।
কি আর করা , কোদাল দিয়ে পরিস্কার করে এলাম। এরপর বিচার সভা বসল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণু পদভট্টাচার্য্য, চেয়ারম্যান ভবেশ ভট্টাচার্য্য সহ সে সভায় গন্য মান্য সবাই উপস্থিত। সম্ভাব্য আসামি হিসেবে আমাদের পাঁচ ছয় জনকে লাইনে দাড় করানো হল। বেত হাতে নিয়ে হেড স্যার বিষ্ণু জ্যাঠা মশাই সবাইকে একে একে জিজ্ঞেস করতে থাকলেন।
সবাই অস্বীকার করলাম, কেউই জানে না কে করেছে এ কাজ। অতঃপর স্যার লাইনের একদিক থেকে মার শুরু করলেন। ছাত্র পিটিয়ে স্যারের এ কাজে বেশ অভিজ্ঞতা ছিল। দুই রাউন্ড মার পর্যন্ত সবাই নাম না প্রকাশ করার শপথে অটুট ছিলাম। তৃতীয় রাউন্ডে রঞ্জিত বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল।
আমার অপরাধে ওরা সবাই কেন মার খাবে? এবার সবাইকে ছেড়ে আমার উপর শুরু হল বেত্রাঘাত। পাঁচ ছয় ঘা পিঠে পড়ার পর মনে হল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মার খাওয়ার কোন মানে হয় না। সভার এক দিকে ফাকা দেখেই ভোঁ করে দৌড় দিয়ে পালালাম। এর কয়েকদিন পর পিশেমশাই আমাদের বাড়িতে বেশ কিছু পেয়ারা পাঠিয়ে দেন। পিশেমশাইয়ের আমার প্রতি দুর্বলতা ছিল।
তার দুর্বলতার কারন হল আমি মাঝে সাজে পিশেমশাইকে হুকোতে তামাক খাওয়ার জন্য নারকেলের ছোবড়ার গুল্লি পাকিয়ে দিতাম।
শ্রীধর খুড়োঃ- আমাদের প্রতিবেশী শ্রীধর খুড়ো তরকারী, ফলমুলের ব্যাবসা করতেন। হাটের দিন মাথায় তরকারীর ঝাকা নিয়ে দুপুরের পর চলে যেতেন ২/৩ মাইল দুরের হাটে, ফিরতেন গভীর রাতে । সে বছর নস্টচন্দ্রে চাড়ূজ্জেদের গাছ থেকে বাতাবী লেবু চুরি করার সময় শ্রীধর খুড়ো হাট থেকে ফেরার পথে আমাদের দেখে ফেলেন এবং যথারিতি তা জানিয়ে দেন মধুসুধন চাড়ুজ্জেকে। সুনির্দিস্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের তলব করে চেয়ারম্যান ভবেশ জ্যাঠামশাই আমাদের শাস্তি দেন।
শ্রীধর খুড়োকে তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দেওয়া ফরজ হয়ে দাড়ালো। উপদেস্টা মনাদা জানালেন শ্রীধর খুড়ো হাট থেকে ফিরে উন্মুক্ত মাঠে মলত্যাগ করেন। মলত্যাগ করার সময় সঙ্গত কারনেই হারিকেনের আলো কমিয়ে ১৫ /২০ হাত দূরে রেখে মলত্যাগ করতেন। পরদিন রাতে শ্রীধর খুড়ো যথারীতি মলত্যাগে বসেছেন। রঞ্জিত শ্রীধর খুড়োর হারিকেন সাই করে দৌড়ে গিয়ে নিয়ে এল, ভাগ্য ভাল শ্রীধর খুড়ো আমাদের চিনতে পারে নি।
সে হারিকেন আমাদের ক্লাবে ক্যারম খেলায় কাজে লেগেছিল অনেকদিন। শ্রীধর খুড়োর শাস্তি আরো বাকি ছিল। মনাদার উপদেশেই সিদ্ধান্ত হল শ্রীধর খুড়োকে রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় খোঁচাতে হবে এবং বারান্দায় প্রস্রাব করতে হবে। সবাই যতটা সম্ভব জল খেয়ে গিয়ে রাত দুটোর দিকে খুড়োর বাড়িতে উপস্থিত হলাম। কাজ শুরু করার আগে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে খুড়োর ঘরের শিকল তুলে দেওয়া হল।
খুড়ো তখন হাট থেকে ফিরে সবে মাত্র শুয়েছেন। মুত্রত্যাগের কাজটা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন করলাম। এর পর খোচানোর পালা। খুড়োর কুড়ে ঘরের বেড়া ছিল বাঁশের তৈরী। বেড়ার বাঁশের ফাক দিয়ে লাঠি ঢুকিয়ে খোচানো শুরু করলাম।
আমরা আগে ভাগেই জানতাম খুড়োর চৌকির অবস্থান। সেদিন বেড়ার দিকে খুড়োর পরিবর্তে খুড়ী শুয়েছিলেন। খোচা লাগল খূড়ীর গায়ে। খুড়ি কথা বলতেন কিছুটা নাকী সুরে। নাকী সুরে চেচিয়ে উঠলেন খুড়ী।
শ্রীধর খুড়ো জেগে উঠে বেরোতে চাইলেন। কিন্তু ঘরের শিকল আটকানো থাকায় বেরোতে না পেরে ডাকা শুরু করলেন পাশের বাড়ীর ছোট ভাই পঞ্চাননকে। পঞ্চানন ওরফে পাঁচুখুড়ো হারিকেন নিয়ে এসে শিকল খুলতে গিয়ে আমাদের প্রস্রাব সিক্ত বারান্দায় আছাড় খেলেন। আমরা দূরে বসে এ দৃশ্য উপভোগ করলাম। আমাদের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমান না থাকায় সেবার শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পাই।
উত্তম কাকুঃ- উত্তম কাকুর শশা চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় তপন, ফলে তপনের বাবা তপনকে উত্তম মধ্যম দেন। তপনের প্রতি এ অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া দরকার হয়ে পড়ল। উপদেস্টারা বুদ্ধি দিলেন উত্তম কাকুর ঠ্যাঙ্গে দড়ি বেধে বারান্দা থেকে টেনে উঠোনে ফেলে দিতে হবে। উত্তম কাকু তখনকার নিয়ম অনুযায়ী বারান্দায় ঘুমাতেন। কিন্তু দড়ি পাওয়া যায় কই? সে সমস্যারও সমাধান হল।
সে সময়ে আমাদের বাজারে পাটের গুদামে আগুন লেগে যায়। ফলে তারা আধপোড়া পাট গুলো বাইরে ফেলে দিয়েছিল। আমরা সে গুলো সংগ্রহ করে ১৫/২০ হাত লম্বা দড়ি পাকালাম। অতঃপর এক শুভরাতে আমরা উত্তম কাকুর বারান্দায় গিয়ে হাজির হলাম। মশারী উঠিয়ে কাকুর দুই ঠ্যাঙ্গে দড়ির ফাস ও নির্বিঘ্নে পরানো হল।
নিরাপদ দুরত্ব গিয়ে দড়ির প্রান্ত ধরে টানা শুরু করলাম। আমরা ভুল করেছিলাম যে এই ভাবে কাউকে টেনে নামানো সম্ভব নয়। টানের ফলে এক সময় দড়ি গেল ছিড়ে। রঞ্জিৎ হা হা করে হেসে দিল। খুড়ো রঞ্জিতের গলা চিনতে পারলেন।
তাড়াহুড়ো করে মশারী থেকে বেরোতে গিয়ে হারিকেন উলটে ফেলে দিলেন কাকু। চিমনী ভেঙ্গে আগুন ধরে গেল হারিকেনে। আবার চেয়ারম্যান ভবেশ জ্যাঠা মশাইয়ের কাছে অভিযোগ। এবার রক্ষা পাওয়ার উপায় ছিলা না কারন আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমান ছিল- ১) কাকু রঞ্জিতের গলা চিনতে পারেন ২) পোড়া পাটের দড়ি, কে যেন আমাদের পোড়া পাট যোগাড় করতে দেখেছিল। আমাদের শাস্তি হল- বিশ বার করে কান ধরে ওঠা এবং উত্তম কাকুর ভেঙ্গে যাওয়া হারিকেনের দাম - চার টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।