আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
শূন্য চোখে তাকিয়েছিলাম খোলা আকাশের পানে। এমন নয় যে কোনোদিন দেখিনি আকাশ, প্রতিদিনই দেখা হয়, আজও দেখছি। আজ দেখে কেন যেনো মনে হলো আকাশের বুকে জমে আছে কত না জল, কিন্তু দেখা যায় না। দেখা যায় না তার বিষন্নতা, বোঝা যায় তার কি রূপ! সে চলমান ভাবে করে চলেছে তার কাজ।
আকাশকে কেমন যেনো মৃত মনে হয়, দরকার একটা জানাযার। কিন্তু জানাযা পড়াবারও কেউ নেই। দুঃখ হয় এত বিশাল নিশ্চুপ আকাশের জন্য। কত অভাগা এ আকাশ।
মিস্টি একটি বাতাস বয়ে গেলো এইমাত্র।
চোখ ফিরিয়ে দেখি পাশে বসে আছে ছোট্ট একটা চড়ূই। বসে বসে শান্ত ভাবে চারিদিক দেখছে, খুজছে হয়তো কিছু, তবে জানি না। খুব সুন্দর লাগছে ওকে। আবার ফুড়ুৎ করে উড়ে গেলো নীল আকাশে, এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। মন চাইলো আকাশকে বলি এই চড়ুই পাখিটার সাথে খেলা করো, বন্ধুত্ব করো, মন ভালো হয়ে যাবে আপনাআপনি! হায়! এত বিশাল আকাশ, আমার কথা শুনবে কি? সে চলে তার মতো।
কখনো নীল, কখনো কালো, কখনো বিষাদ, কখনো রাঙ্গা।
পেপার রাইম নামের এখটা ক্ষনজন্মা ব্যান্ড বব ডাইলানের একটা গানের ছায়া অবলম্বনে রিমেক করেছিলো, টাইটেল ছিলো
বলোতো আকাশের কি রং,
কখনো ধূসর, কখনো রাঙ্গা।
জানি তুমি বলবেতো
নীল আকাশ তোমার!....
খুব জানতে ইচ্ছে করে তোমার আকাশও কি নীল রং আবছায়া, কখনো জানতে চেয়েছো কেন এমন তার রং? হয়তো তুমি জানো কারন তুমি খুব বুদ্ধিমতী।
আকাশ জানে আধার যত কালোই হোউক, তবু আকাশ তাকে বরন করে নেয়, তখন তার সাথী সহস্র কোটি নক্ষত্ররা। রাত চলে যায়, আসে রৌদ্রপ্রখর দিন।
রোদে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যায়, তবু আকাশ সূর্যকে বয়ে চলে, মাঝে মাঝে এসে প্রাণ জুড়িয়ে যায় মৃদুমন্দ বাতাস, কখনো সে নিজেই ঝরায় বৃস্টি। স্বস্তি আনে জনপদ। আকাশ তাতে ভ্রূক্ষেপ করে না। রাতের বেলা সে একা থাকে নিশ্চুপ চাদ তার নিত্য সঙ্গী মনে হয় তার কপালের বিবর্ন টিপ। সাদা মেঘগুলো জড়িয়ে পরনের শাড়ী।
জোৎস্নার প্লাবনে ভেসে যায় সহস্র জনপদ। তখন মনে হয়, আকাশে আসে চন্ঞ্চলতা, আসে দুর্বার যৌবন। কিন্তু সব ক্ষনস্হায়ী। সে তার নিয়তীকেই বরন করে নেয়।
আমিও আমার নিয়তীকে বরন করে নেবো, হয়তো জীবিত থেকে মৃতের মত ঘুরে বেড়াবো পৃথিবীর অলিগলি, অথবা মৃত হয়ে জীবিতের মতো আসবো তোমার স্বপ্নে দেখবো তুমি স্বপ্নে কি দেখো, কত সুন্দর তোমার পৃথিবী, বেহেস্ত মনে করে সেখানেই থেকে যাবো।
পরজন্ম যদি নাই থাকে না থাকুক, শুধু তোমার স্বপ্নের পৃথিবীতে একটা ছোট ঘরে বানিয়ে থেকে যাবো অনন্তকাল!
তখন হয়তো আকাশ দেখা হবে না, আকাশের একাকীত্বে ভাগ বসাবো না। উদাসী আকাশ আসলেই স্বার্থপর, নিঃস্বঙ্গ স্বার্থপর, তার তাতে কিছু যায় আসে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।