এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺
অস্টম শ্রেণীর বাংলা ১ম পত্র বইয়ে পড়েছিলাম বাংলা ভাষার জন্ম সংস্কৃত ভাষা থেকে।
সেদিন কোচিং সেন্টারের নৈব্যত্তিক পরীক্ষায় "কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম?" প্রশ্নের উত্তরে সংস্কৃত ভাষার নাম লেখায় কেটে দিল। বাংলা ভাষার জন্ম নাকি "প্রাকৃত" ভাষা থেকে। উল্লেখ্য যে নবম শ্রেণীর বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ে বাংলা ভাষার জন্ম সম্পর্কে সরাসরি কোন লেখা নেই। তারপর আমি বিভিন্ন বাংলা দ্বিতীয় পত্র বই খুজতে গিয়ে "ডক্টর গোলাম সাকলায়েন"-এর "একের ভিতর পাঁচ" নামক বইয়ে দেখলাম নিম্নের কথাটি লেখা। বইটি নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ ও বি.এ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
"আমাদের এই বাংলা ভাষার মূল অনুসন্ধান করলে দেখা যাইবে যে, ভারতীয় আর্য ভাষাসমূহের মাতামহীস্বরূপ সংস্কৃত ভাষা হইতে ইহার জন্ম। কিন্তু কালক্রমে লোকেরা সংস্কৃত শব্দের উচ্চারণ বিকৃত করিয়া ফেলিতে লাগিলো। ইহার কারণে এক নূতন ভাষার উদ্ভব হইল। এই নূতন ভাষার নাম প্রাকৃত ভাষা। "
আমাদের বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষিকা আমাদের শ্রেণীকক্ষে বলেছেন এরকম করে।
হস্ত>>>হল্থ>>>হাত
এখানে প্রথম শব্দটি সংস্কৃত, দ্বিতীয় শব্দটি প্রাকৃত এবং তৃতীয় শব্দটি বাংলা
তাহলে বিষয়টি কেমন দাড়ালো? অনেকটা এরকম। "মূরগী আগে নাকি ডিম আগে?"
এ ব্যাপারে সকল ব্লগারদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। অনেকটা কনফিউশনে আছি। কোনটি সত্য ঘটনা। আর আমার নৈব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তরের কি হবে? সেটা কি কাটাই থেকে যাবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।