ইমরোজ
আদিবাসীদের ভাষা নিয়ে গত কয়েকবছর যাবত একটা জগাখিচুরী পাকানো গ্যাছে। আমাদের দেশের সরকার তো উন্নয়নমুখী শিক্ষা বিস্তার করে যাচ্ছে। যদিও উন্নয়নের অবস্থা আমরা প্রত্যক্ষ করে মাঝে মাঝে শিউরে উঠি। যাই হোক, আনেক আদিবাসীদের দাবী, তারা তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা করতে চায়। সেটার একটা ব্যবস্থা করেছিলো সরকার।
ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত তাদের নিজেদের ভাষায় শিক্ষা হত। কিন্তু পরবর্তিতে তা ক্লাস থ্রি পর্যন্ত করা হয়েছে। অনেক আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা পদ্ধতি ও ব্যকরণ আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা নিজেদের ভাষায় শিক্ষা লাভ করতে পারছে না। কারণ, বাংলা ভাষার আধিপত্য, আর ইংরেজি ভাষার ব্যাপক চর্চা।
বাংলাদেশে বসবাস করতে হলে বাংলা ভাষায় শিক্ষাটাই স্বাভাবিক। আর পরবর্তিতে ইন্টারনেশন্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ইংরেজিতে বাকি পড়াশোনা করাটাই যুক্তিযুত।
এখানে একটা জায়গায় এসে আমরা আমাদের আবেগের কাছে বার বার হোচট খাচ্ছি। তাহল, আমরা আমাদের মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছি। বাংলা ভাষার যথেষ্ট উ\কর্ষ সাধিত হয়েছে।
এটা আমাদের মায়ের ভাষা বলেই। পক্ষান্তরে সাঁওতাল, চাকমা, মারমা, মুরং প্রভৃতি আদিবাসীদের মাতৃভাষাও তাদের স্ব স্ব ভাষা। তবে কেন তাদের মায়ের ভাষাকে স্বীকৃত করা হবে না? কেনই বা আমাদের দেশে তাদের জন্য তাদের ভাষায় পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হবে না? প্রশ্নটা ক্রমেই কী প্রকট হচ্ছে না? ভাষার প্রতি অগাত সৌহার্দ আর ভালবাসা শুধুই কী আমাদের? তাদের নেই? আর এই জন্যই তাদের থেকে আমাদের দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে?
এই অবাঞ্চিত অবস্থা দূর করার লক্ষ্যে, একজন নিরপেক্ষ দ্রষ্টা হিসেবে আমার কোন বক্তব্য দেওয়ার নেই। আমি য্যান বা একটা বিশাল গলক ধাঁধার মধ্যে পড়ে যাই। বাংলাভাষি হিসেবে আমি আমার ভাষার কথা বলবই।
আর একেকজন আদিবাসী তার নিজের ভাষার চর্চা করবেই, এইটা যার যার অধধিকার। নয়? তাদের স্বাতন্ত্রতা রক্ষা করার দায়িত্ব তাদেরই এটা যেমন সত্য তেমনি এও সত্য যে তাদের মুক্ত চর্চা করবার সুযোগ করে দেওয়াও আমাদেরই কর্তব্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।