বাল্যকাল থেকে জেনে এসেছি ধূমপান কলিজা ছিদ্র করে দেয়, আরো ডেকে আনে অযুত অসুখ। তারপরও ধূমপান কি থেমে আছে? না। বাড়ছেই। এখন, আপনি এত লেখা পড়া শিখে যদি ধূমপান করতে চান করুন, আপনার কলিজা আপনি ফুটো করবেন করুন, মরতে চান মরুন, কিন্তু আমার কলিজা ছিদ্র করার অধিকার আপনাকে কে দিল?
আমার ডিপার্টমেন্টের হেড ধুমছে বিড়ি ফোকেন, ভাইভা বোর্ডেও তার সিগারেটের ধোয়ার প্রশ্নের উত্তর দেয়া দায়। আরেক পিএইচডি অধ্যাপক তো একদিন টাকাই দিলেন সিগারেট কিনে আনার জন্য।
রাস্তাঘাটে হাটে বাজারে চলে সিগারেট পোড়ার মহোৎসব। নিম্ন শ্রেণী কি উচ্চ শ্রেণী একযোগে পাইকারী দরে তামাক সেবন করে চলছে। করুন, আপনার পয়সা আপনি খরচ করুন, পানিতে ফেলে দিন, নিজের পায়ে মারার জন্য কুড়াল কিনতে খরচ করুন, যা ইচ্ছে তাই করুন। আপত্তি অন্যখানে। বিষাক্ত সিগারেটের ধোয়া গিলতে আমাকে কেন বাধ্য করেন? পাশ থেকে হেটে যাবার সময় কেন আমাকে এক কুন্ডুলি বিষ উপহার দিয়ে যান? অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার সময় কেন নিরবে গিলতে বাধ্য করেন নিকোটিনের বহর? মানবাধিকার নিয়ে আপনাকেই তো গলা ফাটাতে দেখি।
আমার সুস্থ্য থাকার অধিকার কি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবার মত? তামাক বিরোধী-মাদক বিরোধী কনসার্টে আপনাকেই তো সবচেয়ে বেশি নাচতে দেখি।
দয়া করে মেকি ভদ্রলোক সাজার চেষ্টা করবেননা। আপনার মত ভদ্রলোকের চেয়ে ঝুটিধারী জঠাধারী গঞ্জিকাসেবীরা অনেক উত্তম, যা করার বটতলায় করে। ঐ ফুটপাতে সারাদিন চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা হেরোইঞ্চিরাও উত্তম, অন্তত ছুড়ি নিয়ে অন্যের কলিজা লক্ষে ছুটে আসেনা।
প্রাইমেরি সেকেন্ডারী পাশ করেও, আত্নঘাতি কর্মকান্ডকে যদি স্মার্টনেস এর কাতারে ফেলতে দেখা যায় তখন কি বলার থাকে?
নাকি শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।