আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরাবাস্তব গোলাপ

ইদানিং খুব ঘাস খাই আর নির্বোধ গরু হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখি,বঙদেশে গরুদের জন্য সব লক্ষীই হাত পেতে আছে । রাষ্ট্র ও সমাজযন্ত্র যখন সংকরিত গরুর গোয়াল ।

শহর পাশে রাস্তায় মাইল হিসেবে হাজারবার পাথরফলক নরক কয়েকটি দশমিক পদ্ধতিতে গোনা সংখ্যা দুরে। নরকের ঘ্রানে শুকনো মাটিতে ফাটল চিড়ে চ্যাপ্টা কেচো কেন্নো বাতাসও উপকূলীয় নোনাবিষে গর্ভবতী। সেই পরাবাস্তব কুয়াশা সময়ে হাজারবার গোলাপ জন্ম নেয় উর্বর হৃদপিন্ডে ভালোবাসতে ভোলে না মানুষ।

সর্বনিম্ন নরকেও গোলাপ দশটি হাতের আঙ্গুল বেয়ে কনুইএ কাটার স্পর্শে একফোটা রক্ত নরকের ঘ্রানে মেশা আলোতে কাপলো ছন্দিত স্পন্দিত হয়ে। নিকটবর্তী নারকীয় অস্তিত্বও গোলাপ আকড়ে বাচিয়ে তোলে সাদা হাওয়াই শার্ট একটা গোলাপ ফোটা মন নিয়ে হাটা প্রেমিক, প্রেমিকা আলিঙ্গনে গোলাপের মাথায় সুখ নাচে আদ্র সুরে। গোলাপের পাপড়ি লেপ্টে সোনা রং চামড়ায় প্রেম ঝড়ে গল গল করে স্তন চেপে ধরে গোলাপের থ্যাতলানো স্তবক। আকাশ দুইভাগ হয়ে বেড়িয়ে আসে আরও অসংখ্য আকাশ মেঘ জমে জমে অনন্ত স্বর্গমূখী সিড়ি। ঈশ্বর বিশ্রাম নেন যদিও মানবিক প্রেমাতুর প্রেমপর্ব গোলাপ সোনারং আদ্র ঘাস ফাটা আকাশের ফাটল দিয়ে বেড়িয়ে স্রোতের মত নতুন আকাশ এই সকল হাওয়াই মেঠাই রং এর সুখশব্দের অস্তিত্ব প্রেমাতুর প্রেমপর্ব নারকীয় বাতাসেই।

কিন্তু নরকটাও ঈশ্বরসৃষ্টি এখানে শেষে নরক দুই ক্রোশ লম্বা অসুস্থ হলদে নারকীয় সূর্যে ঝলসানো বারবিকিউ কেউটে জিভ বের করে হাজারটা মিথ্যার স্তব করবে?নাকি নারকীয় বাতাসে আলোর নীচেই প্রেমপর্ব আরো অসহ্য ভালোবাসার শব্দে মেরুবিন্দুর জমা কেলাসিত বরফে ছয়মাস রাত্রির প্রলম্বিত অত্যাচার শেষে প্রথম সূর্যের ঔরসে প্রথম সকালের জন্ম মুহুর্তের আলোক বিচ্ছুরনটাই হবে তীব্রতর সৌন্দর্যের উপমা। তাই ভালোবাসা অনন্তকাল হতে প্রেমিকের ডানহাত আর প্রেমিকার উত্তাল ঢেউএর উপর অনির্মেষ চলা আ্যালবাট্রসের ডানার তিরতিরে কাপন ধরে রাখা বামস্তন ঐকতানে নারকীয় শুস্কবাতাসে গান করে। চতুর্দিকের বিষময় নারকীয় অস্তিত্বকে উপেক্ষায় বুটপরিহিত সামরিক ঘৃন্য লাথি দিয়ে। নষ্ট নরকের আদিগন্ত বিস্মৃতি আর গভীর তন্দ্রায় ঈশ্বর তবুও হৃদপিন্ডে গুড়ো গুড়ো সোনা রং দুর্বা আলো ঝিকিয়ে উঠে হাজারটা গোলাপ আর গোলাপের কাটায় রক্তদানকারী নাইটেঙ্গেলের জন্ম হয়। মানব মানবীর শরীর মেশে শরীরে বুনো গন্ধে মত্ত হয়ে জীবনকে আজন্ম সুখানুভুতির একটি পর্বভেবে নরকপার্শে ঈশ্বরের নিদ্রাসত্বেও মানব হৃদপিন্ডে সপ্তরংএর গোলাপ ফোটে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।