সযতনে খেয়ালী!
ভাবিনি, কোন জন্মান্ধের দিব্যদৃষ্টি খুলে দিতে এই অথর্বেরও আঙুল চালাতে হবে। ক'দিন ধরেই শুনছিলাম শাহ হান্নান সাহেবের প্রোগ্রামটির কথা। আজকে দেখলাম ইউটিউবে। তার কথাবার্তায় আমার এমনটাই মনে হয়েছিলো যে, 'এই লোক যে পাতে খায়, সে পাতে বমিও করে'!
মাফ করবেন হান্নান সাহেব। এর চাইতে ভদ্র কোন ভাষা ব্যবহার করতে পারলাম না আপনার জন্য।
আপনি নিজের মা কে জানার জন্য বিশ্বকোষের স্মরণাপন্ন হয়েছেন কিনা জানি না, তবে আপনার যিনি মা, সেই মায়ের মাতৃত্ব প্রমাণ পাওয়ার পরেও এক গাল হেসে দিয়ে যে চলে যান নি নিজের পথে, সে কথা আমি হলফ করে বলতে পারছি না।
প্রসঙ্গ:ক্রমে পূর্বপ্রকাশিত আমার এই লেখাটা থাকলো।
চৌদ্দশ বছর আগের সেই ঘটনা। যখন আবু লাহাব বা আবু জাহেলের দল মুহাম্মদ (সাঃ) কে বলেছিলো যদি চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দেখাতে পারো তাহলে তোমার কথা মেনে নিব। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করবো।
ঘটনাক্রমে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হলো কিন্তু সেই দল তখন তাদের পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আনুগত্য তো স্বীকার করলোই না বরং হাসতে হাসতে বলে চলে গেলো, 'বাহ্ মুহাম্মদ, তুমি তো মস্তবড় যাদুকর'।
কনফুসিয়াসের প্ল্যানচেট আয়োজনের সঙ্গে সামান্য যোগ করি। প্রমাণ, দলিল এগুলো দেখিয়ে কি লাভ! যারা দেখতে চাওয়ার তারা চাইবেই। কিন্তু দলিল, প্রমাণ দেখিয়ে চোখে আঙুল তুলে সত্য বুঝানোর পরেও হাসতে হাসতে নিজের পথেই চলে যাবে তারা। নিজের গায়ে ইসলামের ট্যাগ লাগাবে ঠিকই কিন্তু কাজে কর্মে প্রমাণ দিবে আবু লাহাব এবং আবু জাহেলের উত্তরসূরী হিসেবেই।
ইতিহাস মরে না, বারে বারেই আবর্তিত হয়। আবু লাহাব রাও ফিরে ফিরে আসে, বার বার, হাজারবার। তাদের অভিশপ্ত আত্মাও আমাদের আশে পাশেই ঘুরঘুর করে। তাদের মনোবাসনা হলো, 'আমি বুঝুম না, আমারে বুঝাইবো কোন হালায়!'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।