আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাহেলার জন্য মানবী, ফয়সল নোই, সামহয়্যারইন্ ও আমরা

মানুষ আমি খুঁজছি মানুষ আরো মানুষ হতে

আজ চ্যানেল আই সংবাদে আরেফিন ফয়সলের নিউজটি দেখলাম। গতকাল ফয়সল নোই’র লেখনীতে পেয়েছিলাম এই সংবাদটিরই গভীর ও বিস্তারিত বিবরণ। রিপোর্টের পেছনে রিপোর্ট। আটচল্লিশ ঘন্টারও বেশি হলো মানবী’র আবেদনটি স্টিকি করা আছে। ব্লগ এ্যাডমিনিস্ট্রেটরও ধন্যবাদ পাবার দাবি রাখছেন, আমরা পাঠকরা ব্যথিত হচ্ছি আবার উজ্জিবিতও হচ্ছি।

একটি ঘুমন্ত মামলা জেগে ওঠার চিত্রটি দেখার জন্য অধির আগ্রহে আছি। ঘটনাটি জেগে উঠেছে সন্দেহ নেই তাতে। গতকাল থেকে আজ পঞ্চাশ ঘন্টা সময় আমি রাহেলার সঙ্গে আছি, সঙ্গে আছি ব্লগের। কি-ই বা মন্তব্য করতে পারি? যে ভয়টি পাচ্ছিলাম, তা-ই ঘটলো। নোই গতকাল পোস্টে পুরোনো ফাইল ঘেটে রাহেলার একটি ছবি স্টিল করে সেঁটে দিয়ে বাস্তবতার ঘাঁ বের করে দিলেন।

কষ্ট বাড়লো। সত্যি বাড়লো। ঘুমুতে যাই মনে হয় ভ্যানের ওপর শোয়ানো ওই মেয়েটির কথা। মৃত্যুর বেশ খানিকটা আগেও তির তির করে কাঁপছিল যার ঠোঁট, যে বলেছিল আমি এখনও মরিনি। আসলে এই পৃথিবীতে কারো কারো মৃত্যু তুলোর চেয়েও হাল্কা, কারো কারো মৃত্যু পাহাড়ের চেয়ে ভারী।

মৃত্যু যার মুক্তি দিতে পারতো সেই রাহেলা একমাস বেঁচে থেকে দেশের হাজারো রাহেলার অন্তিম মুহূর্ত এঁকে গেছেন। আজ চ্যানেল আই’ রিপোর্টে রাহেলার জীবিত বেলা’র সেই ‘দাঁতে দাঁত’ লাগা দৃশ্য দেখলাম। এরজন্য ধন্যবাদ তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের জন্য যেসব বিজ্ঞানীদের অবদান তারাও পাবেন না. এমনকি পাবেন না বিদ্যুতের আবিস্কারক। ধন্যবাদ পাবেন সাংবাদিক ফয়সল, যিনি কোন ধন্যবাদের আশায় কাজটি করেন নি। সাংবাদিকরা সচরাচর এতটা করতে চান না, করেন না, প্রফেশনালিজমের বাইরে যেতে চান না, মানুষ হিসেবে তার দায়বদ্ধতাটি কখনোই খুঁজতে যান না।

ফয়সল তার সংবেদী মন, দায়িত্বশীলতা দিয়ে যতদূর দৌড়ালেন Ñ সত্যিই গর্বিত হয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে রাহেলার শশুড়বাড়ি খুঁজে ফেরার অনুভূতিতে সিক্ত হয়ে আছি। মানবীও নিশ্চয়ই হাল্কা হয়েছেন অনেকখানি। গণমাধ্যম এর চেয়ে বেশি আর কি-ই বা করতে পারে। ধর্ষককে ধরে ফাঁসিতে ঝুলোতে পারে না, পারে না রোলারের নিচে ফেলে থেতলে দিতে। আমরা বিশ্বাস করছি, রাহেলার জন্য সকল টেলিভিশন, পত্রপত্রিকার টনক নড়িয়ে দেয়ার মতো কাণ্ড ফয়সল করেছেন।

এরপর কেউ নিরব থাকলে বুঝতে হবে তা তার নিছক সীমাবদ্ধতা। তবে আমাদের দেশের আইন ও বিচার বিভাগ অনেকটাই ‘মুক ও বধির’ বলা যায়। ততক্ষণ তাদের কান মুখে সীলমোহর আটকানো থাকে যতক্ষণ না ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’। রাহেলা প্রশ্নে গত পঞ্চাশ ঘন্টায় একেবারেই নৈরাশ্য থেকে টিমটিমে লণ্ঠন জ্বলতে জ্বলতে এখন রীতিমত তাগড়া আলো জ্বলছে আশার। ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.