দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে ।
মা উমা চলে যাবার পর মন ভীষণ ভারাক্রান্ত, তবু মনের কোনে কোথাও যেন একটু আনন্দ উঁকি দেয় লক্ষ্মী পূজোর কথা ভেবে । এখন তেমন হয়ে ওঠেনা, তবে ছেলেবেলায় ভীষণ আনন্দ করতাম । আগের রাতে মা ঠাকুমার শাড়ি দিয়ে পেন্ডেল তৈরিতে বাবা কাকার কাছে যেমন বাহবা পেতাম ,তেমনি মা ঠাকুমার কাছে বকাও খেতাম ভীষণ ,শাড়িতে অনেক তাঁড়কাটা ঠোকা থাকতো বলে । দুর্গা পূজোর সময় পাড়াতে যখন পেন্ডেল তৈরি হতো তখন সারাদিন বসে থাকতাম সেখানে।
আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতাম লক্ষ্মী পূজোর সময় । তখন বাড়ির পূজোতে মাইক তেমন ব্যবহারও হতো না আর বাবা পয়সাও দিতো না। মনে দুঃখ একটা থাকতো বটে কিন্তু সে সময় আমাদের বাড়িতে একটা জার্মান রেডিও ছিলো বলে পাড়ার বন্ধুদের থেকে দুঃখ অনেক কম পেতাম । সে কারনে বন্ধুদের কাছে ওদের থেকে আমাদের বাড়ির পূজোতে আগ্রহটা অনেক বেশি থাকতো । বিশেষ করে আধুনিক বাংলা গানের অনুরোধের আসর আর হিন্দি গানের সময় ।
আর বড়দের ছিলো খবর সে সময় অন্য কোথাও ঘুরিয়ে দেব সে সাহস আমাদের ছিলো না । এমনি করে পূজোটা কোনমতে হয়ে গেলেই বন্ধুদের নিয়ে দে ছুট অন্য পাড়ায় । বাড়ি-বাড়ি ঘুরে নাড়ু মোয়া আহা.....।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।