আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শামসু ব্যাচেলর-১

আমিও সুরের মত মিলিয়ে যাবো। ততদিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে paintlove@gmail.com এ...

"ওই রিক্সা বামে চাপ", ডান পাশ দিয়ে আসা পেছনের বাস থেকে হেলপারের চিৎকার শোনা গেল। ড্রাইভার অবশ্য রিক্সাওয়ালার জন্য অপেক্ষা করল না। তীব্র বেগে পাশ দিয়ে বের হয়ে গেল। রিক্সার ডানপাশের চাকাটা বাসের ধাক্কায় মাটি থেকে ২ ইঞ্চি উপরে উঠে গেল।

কোনমতে টাল সামলালো রিক্সাটা। "স্যার আর তো যাওন গেল না", রিক্সাওয়ালা বলল। " চাক্কা ব্যাকা হইয়া গেছে"। শামসু কোনো কথা বলল না। এটা তার কাছে আসলেই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।

এমনটাই হয়ে আসছে। সে রিক্সায় উঠলেই এরকম কিছু ঘটবে। সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটা ঘটে সেটা হল রিক্সায় উঠলেই চেইন পড়ে যায় এবং একাধিকবার পরে যখন তার কোথাও যাওয়ার তাড়া থাকে। ভাবলেশহীন শামসু পকেট থেকে ৫টা টাকা বের করে রিক্সাওয়ালাকে ধরিয়ে দিয়ে হাঁটা শুরু করল। প্রচন্ড রোদে জনজীবন বিপর্যস্ত।

প্রচন্ড পানির পিপাসা পেয়েছে। আসে পাশে কোনো দোকানও চোখে পড়ে না। রোজার দিনেও দোকানগুলো খোলা থাকে বলে তার মতো লোকদের সুবিধা হয়। অবশ্য রোজার দিনে রোজা না রাখাটাও একটা বিড়ম্বনা। খাওয়ার জন্য সেরকম কিছু পাওয়া যায় না।

তার মতো বেকার লোকদের অবশ্য রোজা দিনেই সুবিধা। খাবার খরচটা কমে। আজ সে রোজা রাখতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। সেহরীর সময় কিছু খাওয়া হয়নি। শুধু এক গ্লাস পানি।

কথাটা চিন্তা করতেই পেটে মোচড় দিয়ে উঠল। প্রতিদিনই অবশ্য এরকমই সেহরী হয় তার। আজ মনে হয় আর পারবে না। শামসুর প্রচন্ড কষ্ট হতে লাগল। মাথাটা মনে হচ্ছে একটু ঘুরছে।

একটু পরেই আবার রাজধানীবাসী মার্কেটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তখন হাটাচলা আরও কষ্ট। রাস্তায় জ্যাম লেগে যাবে। ঐ তো একটা দোকান দেখা যায়। শামসু সর্বশক্তি দিয়ে এক ফোঁটা পানির আশায় ছুটতে লাগল...


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।