!!!
২০০৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী; আমার লেখা একটি ছড়াকে নকল করিয়া আমার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসিল- "কাছে যদি না আসো হয়ে যাবো একা, ভালো যদি না বাস খাওয়াবো তোমায় ছ্যাঁকা"। ছ্যাকা খাওয়ার ভয়ে আমি পাল্টা ম্যাসেজ পাঠাইলাম- "কাছে যদি আস সখি বাসবো তোমায় ভালো, দুজন মিলে ডেটিং করবো খাবো শুধু পলো..!!" ।
আমি পাইলাম তাহাকে পাইলাম। আমার অকৃপণ হৃদয় চাহিবামাত্র প্রেম বিলিয়া দিল তাহার উদ্দেশ্যে। কিন্ত সেই অদ্ভুত প্রেমে আকস্মিক বাধা হইয়া দাড়াইলেন বিটিআরসি নয়া চেয়ারম্যান সাহেব।
রাত জাগিয়া প্রেম করিতে করিতে পোলাপানের স্বাস্থ্যে ভঙ্গ দশার উদয় হইতেছিল বলিয়া তিনি ডিজুসের ফ্রি কল বন্ধ করিয়া দিলেন। আমি দ্বিগুণ উতসাহে ফ্লেক্সিলোডের দিকে ধাবিত হইলাম। একদিকে আমাদের প্রেম , অন্যদিকে গ্রামীণফোনের লাভ। সবারই ভালোই চলিতে লাগিল। ৩ মাস পার না হইতেই আমার মন ব্যাকুল হইয়া উঠিল প্রীতির দর্শনের লাইগা।
দর্শন করিতে ইচ্ছুক এই বাসনা ব্যক্ত করিবা মাত্রই প্রীতি হারিয়া গেল আমার মোবাইল থেকে। মানুষকে সহজে ভুলে যাইবার সাংঘাতিক ক্ষমতা আমাকে সেই যাত্রা হইতে রক্ষা করিল। । আমি অন্য এক রমণীর হৃদয়ে প্রস্থান করিলাম। ।
প্রীতির উদ্দেশ্যে যেসব আবেগমাখা ডায়ালগ নিবেদন করিয়াছিলাম উহা দিয়াই মোটামুটি কয়েক মাস চলিলাম।
এইতো মাস খানেক আগে প্রীতি আবার ফিরিয়া আসিয়াছে। এবার প্রীতির ভিতর পূর্বের চেয়ে প্রেমের মাত্রা বেশি লক্ষ করা যাইতেছে। আমাকে সে ভালোবাসে, খুব বেশি ভালোবাসে...। তাহার আবেগ মাখা পিড়াপিড়িতে আমার হৃদয়ের জমাট বাধা প্রেম গলিয়া যায় - সম্প্রতি তাহার বিবাহ ঠিক হইয়াছে।
পাত্রের বয়স ৪০ বছর, আলিসান ভুড়িও আছে একখানা। আর প্রীতির বয়স ২২ বছরে পড়িয়াছে। । বৃদ্ধের প্রেমের ছোবল থেকে ফিরিয়া আসার জন্যই আমার প্রতি প্রীতির এমন উপচে পড়া ভালোবাসার আবির্ভাব হইলো কিনা বুঝিতে পারিতেছি না!!
ঈদের দিনই প্রীতির বিয়ের সাঁনাই বাজিবে। কিন্তু প্রীতি আমার কাছে আকুল আবেদন করিয়াছে আমি যেন ত্রিশ রোজার আগেই তাহাকে নিয়া পলায়নের বন্দোবস্ত করি।
কিন্তু আমি তো এখনো প্রীতির মুখোদর্শন করি নাই। তাই আশঙ্খা করিতেছি যদি তাহাকে দেখার পর তাহাকে রাখিয়াই আমার পলাইয়া যাইবার সাধ জাগে তাহা হইলে তো প্রীতি আর একা একা ঘরে ফিরিয়া মুখ দেখাইতে পারিবে না। তাই আমি তাহার উদ্দেশে সান্ত্বনা জ্ঞাপন করিয়াছি যে ঐ বৃদ্ধের সহিত শুধু নামমাত্র স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বহাল রাখিবা আর তোমার জন্য প্রয়োনীয় ভালবাসা আমি বিতরণ করিব। আমার আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভালো যাইতেছে না তাই উনার সহিত ভাব জমাইয়া আমার আর্থিক অবস্থার সংকুলান করিলে কৃতার্থ হইবো। প্রীতি এই শর্তে রাজী হইয়া আমাকেও একটি শর্ত দিয়াছে- আমি যেন আমার সময় সুযোগ মতো তাহাকে চিরতরে লইয়া আসি।
আমি ভাবিতে ভাবিতে শ্যাষ হইয়া যাইতেছি। আপনারা আমাকে পরামর্শ দিয়া এ যাত্রা হইতে রক্ষা করিতে বাধিত করিবেন!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।