স্থান : বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র
উপলক্ষ্য : কেন্দ্রীয় সদ্স্য সম্মেলন,২০০৫
আয়োজক : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
..............
১
আমন্ত্রিত অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবর্গের সংগে সেই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব ও বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন।
২
কি বলেছিলেন সেদিন মইনুল....
শিবিরের সেন্ট্রাল কনফারেন্সের মতো প্রোগ্রাম , যাতে উপস্থিতি অনেক কিছু মীন করে , তাতে উপস্থিতির ব্যাখা দিতে গিয়ে মইনুল বলেছিলেন ,বাংলাদেশে প্রচলিত ধারার ছাত্ররাজনীতির বাইরে , মেধাবীদের নিয়ে শিবির একটি প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্রসংগঠন। তারা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে জাতিকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাক , আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।
৩
--- ভোটের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া তো দূরের কথা , প্রধান নেত্রীর ঘোষিত কমিটি মেনে নিতে গিয়ে দলের দুই পক্ষের মারামারিতে সম্মেলন ভন্ডুল হয়। (দ্রষ্টব্য : ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই গ্রুপে মারামারি , ইন্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাংগন রণক্ষেত্র, হাসিনা বিব্রত।
)
--- লবিং আর গ্রুপিংয়ের জোরে দলে যায়গা করে নেয় ছাত্রনামধারী অছাত্ররা।
--- দলীয় নীতির অবিচল অনুসারী এইসব ছাত্রসংগঠনের নেতারা অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতার কাছ থেকে উপঢৌকন পেয়ে ভুলে যান সব। (দ্রষ্টব্য : ছাত্রলীগ সভাপতি মাহফুজুল হায়দার রোটনের গাড়ীপ্রাপ্তি। হয়তো এই গাড়ীতে চড়েই তিনি বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা করে বেড়িয়েছেন "আমাদের মুজিবের মতো আপসহীন হতে হবে")
৪
উপরোক্ত দলগুলোর সমর্থকেররা হয়তো বুঝবেনওনা , কি অবোধ্য যুক্তিতে শিবিরের সদস্যরা খোলা ব্যালট বাক্সে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন করে , কি অভূতপূর্ব শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে প্রতিটি সম্মেলনে , বিগত সম্মেলন তার একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ মাত্র। উনারা হয়তো এটাও বুঝতে চাইবেন না , নতুন দায়িত্ব পাবার পর কেন্দ্রীয় সভাপতির চেহারায় হাসির বদলে থাকে চোখভরা অশ্রু থাকে কেন।
কিসের ভয়ে তারা ভেঙে পড়েন অদম্য কান্নায়.......
৫
ব্যারিষ্টার মইনুলের দোষ
--- হাসিনা খালেদাকে ধরেছেন , নিজামীর বেলায় খবর নাই
--- জলিল জেলের ভাত খায় , মুজাহিদ বিদেশে ঘুইরা বেড়ায়
--- সব দলের এমপি ধরা খায় , জামায়াতের গুলা পার পায়
--- ছাত্রদলের সভাপতি হাজতে , লীগের সভাপতি পলাতক , শিবিরের সভাপতি বিছানায় নাকে ত্যাল দিয়া ঘুমায়
অবশ্য মইনুল কইসে , যাগো ধরা হইতাসে , নির্দিষ্ট ও উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতেই হইতাসে। যার কারণে বোঝা যায়
'হাসিনার ব্যাংক স্থাপনের অনুমতির রেট ৫ কোটি টাকা। ' জাতীয় অভিযোগ আগে মিথ্যা মনে হইলেও আসলে সত্যি।
৬
সেই মইনুলরে শিবিরের প্রোগ্রামে দেইখা হ্যাগো শইল চামড়া জ্বলবো না তো কী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।