আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিবাসীদের দেশ কানাডা - পর্ব ২.১ (অভিবাসনের সিদ্ধান্ত)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

সূচনা: এটা শুরু হয়েছিল - যখন আমি প্রথম কানাডায় আসি। তখন বাংলাদেশীদের সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কানাডা আসার প্রবনতা কম ছিল। যেহেতু আমেরিকা বা নিউজিল্যান্ড না গিয়ে কানাডা এসে যখন পড়েছি, তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে টেলিফোন বা চিঠি বা ই-মেইলে কিছু প্রশ্ন আসতো। পরিচিত, স্বপ্ল পরিচিত বা অন্যান্যদের কাছ থেকে। কেমন আছি, কি করছি ইত্যাদি ইত্যাদি।

বুঝলাম, আসলে সবাই জানতে চান - উনারা কানাডায় আসবেন কিনা? সহজ প্রশ্ন কিন্তু কঠিন উত্তর - কারন এটা আসলে একটা নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয় - যার পিছনে এমন সব ফ্যাক্টর কাজ করে - যা সবার জন্যে ইউনিক। কেহ ঢাকা বা আশেপাশে একটা বাড়ী বানাতে পারলে বা কেহ একটা এপার্টমেন্ট কিনতে পারলে বা কেহ একটা প্রমোশন পেলে জীবনকে স্বার্থ মনে করবে - তাদের জন্যে কানাডা বা অন্যকোন দেশে পরবাসী হওয়া কঠিন। অন্য একদল মানুষ আছেন - যারা জীবনে স্থির হওয়াটাকে মরনের সমমর্যাদা দেন - তাদের জন্যে দেশে থাকা কঠিন। আবার কেহ আছে - চোখ কান বুজে - বিবেকটাকে প্যান্টের পকেটে বা টুপীর ভিতরে রেখে -ধরি মাছ না ছুই পানি ধরনের (ঘুষ খাই বুঝে সুজে) জীবন যাপন করেন তাদের বিষয় আবার আলাদা। সুতরাং আমি পড়লাম বিপদে।

কারন একই ধরনের বিধান সবার জন্যে কাজ করছিলো না। তখন একটা ওয়ার্ড ফাইল তৈরী করি - কেন কানাডা আসবেন - কেনই বা আসবেন না। সেটার পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত রূপ হলো এই লেখাটা। এটা দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটা হলো “কেন কানাডা আসবেন” এবং পরেরটা হলো “কেন কানাডা আসবেন না”।

যদি কারো কাজে লাগে - নিজেকে ধন্যমনে করবো। তারপরও অনেক কথা বলা যাবে - যদি কারো সুনির্দিষ্ট কোন প্রশ্ন থাকে। কেন কানাডার অভিবাসী হবেন? ১) কানাডা জি৮ দেশের একটা। এটা আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ - কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র চার কোটি। একটা উন্নত দেশ - যার কর্মষ্থল চমতকার।

জীবনযাত্রার মান অনেক উচু। ক্যানাডার একটা হেলথ কেয়ার সিস্টেম আছে যা বিশ্বের অন্যতম। ২) জাতিসংঘের বিবেচনায় কানাডা বসবাসের জন্যে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসাবে পর পর পাচঁবার নির্বঅচিত হয়েছে। এই নির্বাচনের ভিত্তি হলো - জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা, জীবনকাল বা আয়ু। ৩)ক্যানাডা এমন একটা দেশ যেখানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষ বাস করে।

মূলত কানাডার আজেক এই অবস্থার পিছনে কাজ করছে ইমিগ্রান্টরা। প্রতিবছর কানাডা ২ লক্ষ ইমিগ্রান্টকে স্বাগত জানায়। নানান বর্ণ আর সংস্কৃতিই কানাডাকে একটা বিশ্বের “মেলটিং পট” হিসাবে বিবেচার দাবী রাখে। ৪) বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই আপনি আসুন না কেন - আপনি কানাডাতে প্রবেশ করা মাত্রই আপনি একজন নাগরিকের সকল সুবিধা ভোগ করতে শুরু করবেন। আপনার অধিকার সংরক্ষিত হবে - ক্যানাডার “চার্টার অব রাইটস” এর অধীনে।

যদি আপনি বৈধ নাগরিক হতে চান - তিন বছর বসবাসের পর আপনি আবেদরন করতে পারেন। কানাডিয়ান হিসাবে তখন আপনি পাসপোর্ট এবং ভোট দানের অধিকার পাবেন। ৫) এখানে বাচ্চাদের শিক্ষার জন্যে একটা চমতকার ব্যবস্থা আছে। একটা বাচ্চা যেহেতু বিশ্বের অনেক দেশের বাচ্চাদের সাথে একই ভাবে মিশতে পারে - তারা হয়ে উঠে উদার এবং সংস্কারহীন মানুষ। উল্লেখ্য ১২ লেভেল পর্যন্ত একটা ফ্রী এবং ইউনিক শিক্ষা ব্যবস্থা কানাডার বৈশিষ্ট্য।

৬) উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষনার জন্যে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হতে পারে আপনার পছন্দের তালিকা একটি। এখানে কানাডিয়ানদের পড়ার খরচ অনেক কম - যার জন্যে সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা করা হয় সরকারী ভাবে। ৭) কানাডিয়ান গ্রাজুয়েটদের জন্যে বিশাল চাকুরী বাজার আছে আমেরিকায়। (পরের অংশ " কেন কানাডায় আসবেন না?")

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.