বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
মাজার বিষয়ক বা মাজারের ভান্ডামী বিষয়ক এই সিরিজের আজ বারোতম পর্ব । বারোতম পর্বের সাথে মিল রেখে,আসুন আমরা আজ 'বারো আউলিয়ার মাজার' নিয়ে কিঞ্চিত আলোচনা করি ।
বারো আউলিয়ার শহর খ্যাত চট্টগ্রামে বারো আউলিয়ার মাজারও আছে একখানা । সিতাকুন্ড থানার ছোট কুমিরা নামক জায়গার কাছাকাছি এই বারো আউলিয়ার মাজারের অবস্থান । ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই এই মাজার ।
ওই জায়গার নামও এখন বারো আউলিয়া হয়ে গেছে । মাশাল্লাহ ! আউলিয়াদের 'আছর' জটিল বলেই মনে হচ্ছে !
এই মাজারের বৈশিষ্ট হলো,টাকা কামানোর ধান্ধায় বা ব্যবসার ধান্ধায় এখানকার খাদেমদের নিত্য-নতুন বুদ্ধি আঁটার দরকার পড়েনা । আয়েশে বসে বসে ইনারা টাইম গুজরান করেন । ইনাদের কাছে টাকা পাতার মতন উড়ে উড়ে আসে !
ব্যাপার হলো,ঢাকা-চট্টগ্রামগামী প্রায় প্রতিটি বাস-ট্রাকের গতী এইখানে এসে আপনাতেই মন্থর হয় যেন । এই জায়গা দিয়ে দ্রুত গতীতে গাড়ী চালিয়ে যাবার হিম্মত ড্রাইভারেরা দেখান না কারণ, পিতৃপ্রদ্ত্ত জানের মায়া কার না আছে ! যদি মরহুম আউলিয়াদের বদনজরে পড়ে একটা কিছু দুর্ঘটনা...!
তো বাসের গতী যখন মন্থর হয়,বাসযাত্রী মহাশয়দের (মাজারের উদ্দেশ্যে) টাকা ছুঁড়ে দেবার গতী হয় তখন দ্রুত ।
বাসের জানালা দিয়ে বৃষ্টির মত টাকা উড়ে উড়ে এসে পিচডালা ওই পথটারে চুমা খায় ! চুমা অবশ্য খুব বেশীক্ষণ ক্ষেতে পারেনা । অল্প বয়সী এক ঝাঁক কিশোর টাকাগুলো কুড়িয়ে নিয়ে হা করে থাকা দানবক্সে গলাধঃকরণ করায় ।
এখন কথা হলো,বাস ট্রাক যাত্রীদের ছুঁড়ে দেয়া সারাদিনের হাজার হাজার টাকা কি,রাতে মৃত আউলিয়াদের কবরে সমবন্টনে ভাগ করে দেয়া হয় ?! যদি না হয়,তাহলে টাকাগুলো কই যায় ?
নাকি,বারো ভূতে খাই করে বারো ভাগ ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।