বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
এই সিরিজের ১-৫ পর্যন্ত একজন মোকাব্বর মুন্সি কিভাবে একখানা মাজারের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা বনে গেলেন আর নিজে লাভবান হলেন সেটি দেখানোর চেষ্টা করেছি। মাজারের এই ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনে দিয়ে গেছে । যদিও মোকাব্বর মুন্সির চরিত্রটিকে ঘষা-মাজা করা হয়েছে । কিন্তু চোখ-কান খোলা রাখলে দেশের আনাচে-কানাচে এরকম অগণীত মোকাব্বর মুন্সির দেখা মিলবে ।
ল্যাংটা বাবার ওই মাজারটি চট্টগ্রামে।
যদি কেউ দেখতে চান তো,ষোলশহর দু নং গেইট আর বায়েজীদ বোস্তামীর মাজারের মাঝামাঝি 'টেক্সটাইল গেইট' নামক জায়গায় চলে যান। সেখানে নামলে মাজারের সাইনবোর্ড আর দানবক্স পাবেন । খানিকটা ভেতরে গেলেই পেয়ে যাবেন সেই নকল মাজার ।
যাই হোক,পরবর্তী পর্বগুলোতে এই অধম মাজার ভ্রমণে তার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনার খায়েশ রাখে ।
বায়েজীদ বোস্তামীর মাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে br /> ********************************
সবে কৈশোর পেরিয়েছি ।
বয়স ১৪ হবে । ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা মনমত হলোনা । বায়েজীদ বোস্তামীর দারস্ত হলাম,(কাছেই থাকতাম) বেইজ্জতি এড়ানোর আশায় । বেইজ্জতি মানে ডিমোশন । পাঁচ ক্লাসে রোল নং- ছিল ২, এবার যদি বেশী পিছিয়ে পড়ি 'আব্বাহুজুর' কর্তৃক ভর্ত্সনা পাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না ।
মৃত পীরের অনেক নাম-ডাক । সেইখানে নাকি কি একটা গাছ আছে, ইচ্ছাপূরণ গাছ । চোখ মুদে সুতা বেঁধে দিলে ইচ্ছাপূর্ণ হয় । অর্থাত্ত সুতা বাঁধার সময় মনে-মনে একটা জিনিষ চায়বেন,একাগ্রতার সাথে চায়বেন, সে জিনিষ প্রাপ্ত হওয়া আপনার ঠেকায় কে ! তবে, এ-ব্যাপারে কিঞ্চিত কড়াকড়ি আরোপীত আছে । একাধিক জিনিষ চাওয়া যাবেনা ।
তাহলে বাবা মাইন্ড খাইতে পারেন ! যাই হোক, আশায় বুক বেঁধে গেলাম বাবার দরবারে... !
(বিস্তারিত আগামী পর্বে দেখুন )
চলবে....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।