বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
মাইজভান্ডারে যা হয়br /> *****************
"দয়াল বাবা-কেবলা কাবা আয়নার কারিগর
আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর...বাবা.."
বাবা নাকি আয়নার কারিগর। কলবের ভিতর আয়না বসানোর এই আকূল আবেদন তাই । তো কলবের সে আয়নাতে কি দেখা যায় ?
গাঁজার নৌকা পাহাড় দিয়া যায়...
*************************
কলবের আয়নাতে বোধহয় গাঁজা সাজানো কল্কিটা ভাল দেখা যায় ! ভোম বাবা ভোম...বলে ভুরভুর করে গঞ্জিকা টেনে নাও। দু'চক্ষু টকটকে লাল করে হালকায়ে জিকিরে( বা ভান্ডারী নৃত্যে) অংশগ্রণ করো ! জটবদ্ধ লম্বাচুল নাচাও,নাচো । সাথে নাচা মহিলাদের বুকের কাপড় সরে যাওয়া উন্নত বুকে চাপ দিতে দিতে নাচো ! গায়ের সাথে গা ঘষে নাচো ! নাইলে নাচাতে জোশ আসবে কেন ? নর্তন জমবে কেন ? কেবল উদ্দাম ভান্ডারী নৃত্যে জোশ আসার জন্য তাবত্ত গঞ্জিকা সেবীরা এক হও....!
বড্ড অশ্লীল ঠেকতে পারে (কারো কারো কাছে) উপরে বর্ণনা ।
কৈফিয়ত হিসেবে বলতে চায়,নিজে গিয়ে দেখবেন না যেন (যদি সাহসের অভাব থাকে ),নিজ চোখে অনেক বেশী অশ্লীল ঠেকবে সে দৃশ্য !
ভান্ডার শরীফে একজন রহিমনের কৃপা প্রাপ্তি-
***********************************
রহিমনের স্বামী প্যারালাইজড হয়েছে বহুদিন । ঘরের ভেতরই তার সমস্থ জীবন যাপন। বাথরুমও সারতে হয় তাকে একমাত্র ঠিকানা চেয়ারটাতে ! বৈদ্য-ওজার ঝারফুক কম হলোনা ! রহিমনরা গরীব,বড় ডাক্তার দেখানোর অত পয়সা তাদের কোথায় । তার স্বামীইতো ছিল আয়ের উত্স । একমাত্র সন্তান জব্বার কে নিয়ে তাদের সংসারতো চলেই যাচ্ছিল স্বামীর আয়ে ! হঠাত্ত একদিন হাই ব্লাড প্রেসারের আকস্মিক আক্রমণে প্যারালাইজড হয় রহিমনের স্বামী ! বাধ্য হয়ে বাড়ি-বাড়ি ঝি-এর কাজ করতে শুরু করে যুবতী রহিমন ।
কে যেন তাকে বুদ্ধি দেয়,-
'মাইজ ভান্ডার শরীফ গিয়া কিছু মানত করো,করুণা ভিক্ষা চাও...!'
করুণা প্রার্থী রহিমন মইজ ভান্ডার শরীফ যায় । স্বামীর দায়িত্ব দিয়ে যায়,স্বামীর দূর সম্পর্কের এক বোনকে । মৃত পীর (শফিউল হক মাইজ ভান্ডারী)-'র কবরে মাথা ঠুকে কাঁদে রহিমন,-তার প্রতি যেন কৃপা করা হয় । তার স্বামী যেন সুস্থ হয়ে উঠে ! অনেক নর-নারীর সাথে রহিমনও রাতে মাইজভান্ডারে থেকে যায় ।
গভীর রাতে তার ঘুম ভাঙ্গে,-তার উন্নত বুক কে যেন দলিত-মথিত করছে সে স্পর্শে ! তার নিশ্বাঃস বুঝি একটু ঘন হয় ! কতোদিন পুরুষের স্পর্শ পায়না ! কেউ একজন তার দেহে উপগত হয় ! চোখ মুদে উপভোগ করে রহিমন ।
দিনের পর দিন যায়,রহিমনের মাইজভান্ডারী নেশা আর কাটেনা ! নেশা না কাটা নেশায় সে ডুবে যায় ! স্বামী-সন্তান-সংসার উচ্ছনে ! খুঁজতে যায় আত্মীয়রা ! রহিমনকে পেয়ে তারা একরকম ধরে-বেঁধে নিয়ে আসে এলাকায় ! আবিস্কৃত হয়, রহিমন গর্ভবতী ! দিনে দিনে পেট উঁচু হতে থাকে তার....!
বটম নোট :- মাইজ ভান্ডার শরীফের এইসব ভন্ডামী আর নোংরামীর প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণ থাকেনা আর ! স্থানীয় একজন প্রতিবাদ করাতে,ক'দিন বাদে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় মাইজভান্ডারের সামনে বটগাছে । সে নিজে ফাঁসিতে ঝুলেছে বলে প্রচারণা চালানো হয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।