চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
গ্যাটে ইনষ্টিটিওটের কথা আমরা সবাই জানি। ঢাকায়ও আছে।
জারমান কবি, ওপনাস্যিক, নাট্যকার, দারশনিক গ্যাটের নামানুসারে এর নামকরন করা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বের সাহিত্যিক জগতের সর্বশ্রেষ্টদের একজন তিনি। ইউরোপের এই বিশ্ববিখ্যাত কবির ডিবান মহাকাব্যটি, বিশ্বসাহিত্যের অমুল্য সম্পদ বলে বিবেচিত হয়।
অরিয়েন্টাল স্টাডিজের প্রতি প্রথম দিক থেকেই আগ্রহ ছিল গ্যাটের । কোরানের ব্যপারে জানতে পেরে তিনি আরবী শিক্ষার ব্যপারে তাগিদ অনুভব করেন।
তিনি কিছু আরবী দুআর নিজেই কপি করেছিলেন, এব্যাপারে তিনি লিখেছিলেন, " আর অন্য কোন ভাষায় স্পিরিট, শব্দ আরে অক্ষ্রগুলো এমন নিগূড়ভাবে গাথা হয়নি।
৭০ বছর বয়সে গ্যাটে লিখেছেন, আমার ইচ্ছে করে, শ্রদ্ধার সাথে আমি সেই রাতকে উদযাপন করি যখন সম্পুর্ন বেহেশত থেকে নবীজি সাঃ উপর কোরান নাযিল হয়েছিল।
গ্যাটে জারমান ভাষায় অনুদিত কোরান পড়েছিলেন এবং সবসময় নতুন সব অনুবাদের জন্য অপেক্ষা করতেন।
তিনি আরো লিখেছেন, “বইটির শুদ্ধতার প্রতি কারো সন্দেহ থাকার কিছুই নেই। এই বইটি অনন্ত কালের জন্য কারযকর থাকবে। “
গ্যাটে হাফিজ, আত্তার, শেখ সাদি, কোরান তাফসির আর দুআর মুল স্ক্রিপ্ট আনিয়েছিলেন পড়াশুনা করার জন্য।
কোরানের ভাষার সৌন্দ্যর্য আর মাধুর্য্য তার ভাল লেগেছিল আরে কোরানের ধর্মিয় তত্ত আর দার্শনিকতা তাকে সবচাইতে বেশি আকৃষ্ট করেছিল।
তিনি মুহাম্মদ সাঃ প্রশংসায় কবিতা লিখেছেন।
ডিভানে গ্যাটে লিখেছেন, মুহাম্মদ সাঃ একজন নবী,কবি নন,কোরান একটি আসমানি কিতাব,স্বর্গীয় বিধান,মানুষের রচনা নয়।
ডিভানে গ্যাটে বলেন,
বোকা সে জন, যে জন করে তার নিজের ধর্মের প্রশংসা,
যদি ইসলাম হ্য় খোদার কাছে সমর্পন আমরা সবাই
ইসলামে মরি এবং বাচি।
কলেরায় তার অনেক বন্ধুদের মৃত্যুতে তিনি লিখেছেন,
আমরা সবাই ইসলামের অন্তর্ভুক্ত।
গ্যাটে বলেন, আমাদেরকে এভাবে ইসলামের মধ্যেই থাকতে হবে।
নিজে যে মুসলমান ছিলেন গ্যাটে তার সমর্থনে লিখেছেন,কবি গ্যাটে এই সন্দেহটি আর অসবিকার করেন না যে, তিনি একজন মুসলমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।