বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
ব্যবসা ভাল জিনিষ। আমাদের নবীজিও ব্যবসা করতেন। তার উপর বিনা পুঁজির ব্যবসা হলেতো অতি উত্তম।
বিনা পুঁজির ব্যবসায় আর্থিক বিনিয়োগ যত্সামান্য,কিম্বা একেবারে না হলেও চলে । এখানে আপনি বিনিয়োগ করবেন মেধা ।
অর্থাত্ত বুদ্ধি । সেটা যে আবার সুবুদ্ধি হতে হবে তাও না । মোটামুটি দুর্বুদ্ধি হলেই চলবে ।
দুর্বুদ্ধিটা আপনি এভাবে কাজে লাগাতে পারেন । যেভাবে কাজে লাগিয়েছেন ধূর্ত মোকাব্বর মুন্সি ।
মোকাব্বর মুন্সির কপালে গোলাকার বৃত্ত কালো একটা দাগ । ওই দাগ নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সেজদাই যেতে যেতে হয়েছে । ওনার বিবি নাকি আরো সরেস । সেই ভদ্র মহিলার মুখমন্ডলতো দূরের কথা,পায়ের পাতাও নাকি কোন পরপুরুষ বনি আদম দেখেছে বলে মনে করতে পারবেনা,-এই ঘোষণা স্বয়ং মোকাব্বর মুন্সির।
তো সেই সতি নারীর পতি মোকাব্বর মুন্সি শিশির ভেজা এক প্রভাতে হায় হায় করে উঠলেন;- 'এইভাবেতো গ্রামে গজব নাজিল হইবো !'
কিভাবে ? কি কারণ ? উত্তসুক জনতা মোক্কাবর মুন্সির প্রতি মনোযোগ দিলেন ।
মোকাব্বর মুন্সিও তার মুখস্থ করা রেকর্ড বাজিয়ে দিলেন,-" আপনাগের ভাবি ভয়ঙ্কর এক খোয়াব দেখছে ! এবতেদায়ী মাদ্রাসার নীচে যে পুরানা কবরখানা (উল্লেখ্য,পুরনো এই কবরটি কতো আগের বা কার তার সঠিক বর্ণনা কারো জানা নেই ) আছে, সেইখানে এক বিরাট বুজুর্গ শুইয়া আছেন । বুজুর্গের মুখভর্তি সাদা দাড়ি । গায়ে কুনো কাপড় নাই । আপনাগের ভাবি দেখলেন ঘুমের মইধ্যে তিনি ছটপট করতাছেন । তার কষ্ট হইতাছে ।
বিড়বিড় কইরা তিনি কি য্যান কইতাছিলেন। আপনাগের ভাবি কান পাইতা শুনলেন,বুজুর্গ কইতাছে -
মা ! রোদের তাপ আমার গায়ে পড়ছে । ঘুমে ব্যাঘাত হইছে । আমারে একটু ছায়া দেও, মা !"
এ পর্যন্ত বলে থামেন মোকাব্বর মুন্সি । একটু দম নেন ।
খুক খুক কাশি দিয়ে আবার শুরু করেন,-"আমি ভাবতাছি,বুজুর্গ যখন তার কষ্টের কথা খোয়াবে জানাইছেন, তার কষ্ট দূর না করলে আমাগো গ্রাম অভিশপ্ত হইবো ! আজই আমি এর একটা ব্যবস্থা করুম । "
ব্যবস্থা মোকাব্বর চটজলদিই করে ফেলেন । গঞ্জের বাজার থেকে লাল শালুও এসে যায় । কবরের চারপাশে চারটা খুঁটি গেঁড়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয় লাল শালু । কবরে শায়ীত বুজুর্গের গায়ে রোদের তাপ লাগার আর কোন সম্ভাবনাই থাকেনা !
পরদিন কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে গিয়ে লেকজন থমকে দাঁড়ায় ।
সেইখানে একটা সাইনবোর্ড তারা দেখতে পায়,-
" ল্যাংটা বাবার মাজার !"
দ্রষ্টব্য : শাহ জালাল মাজারের এই ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।