leo_abdullah@yahoo.com
সেলোফেন
গিফট মোড়ানোর জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে আপনি র্যাপিং পেপার খোজেন। সেলোফেনকে আপনি হয়তো চেনেন র্যাপিং পেপার হিসেবে। আজকাল হরেক রকমের বাহারী রংয়ের সেলোফেন পেপার বাজারে পাওয়া যায়। এই সেলোফেন পেপার (বা র্যাপিং পেপার যাই বলিনা কেন) এটা কিন্তু হঠাত করেই আবিষ্কৃত হয়েছিল।
জ্যাকুইস ব্রান্ডেনবার্জার ছিলেন একজন কেমিস্ট।
কাজ করতেন একটি ফ্রেঞ্চ টেক্সটাইল ফার্মে। এটা ১৯০৮ সালের শেষের দিকের ঘটনা, তিনি দাগ নিরোধক একটা টেবিলকথ বানাবার চেষ্টা করছিলেন। এজন্যে তিনি ভিসকোসের সাহায্য নিলেন। ভিসকোস হলো রেয়ন তৈরীর একধরণের সেলুলোজ যা দিয়ে সিনথেটিক টেক্সটাইল ফাইবার তৈরী করা হয়। তিনি দাগ নিরোধ আস্তরণ তৈরী করার জন্যে কাপড়ের উপর ভিসকোসের পাতলা আবরণ দিতে পারলেন কিন্তু বেচার জ্যাকুইসের ভাগ্য খারাপ।
কার্যত যা দেখা গেল, লোকজন টেবিল কথের উপর দাগ থাকাটাই পছন্দ করলো। তার স্টেইন প্রুফ টেবিল কথ বাজার মাতাতে পারলো না।
ভাগ্যক্রমে জ্যাকুইসের হঠাত করেই মনে হলো ও তিনি বুঝতে পারলেন তার এই আবিষ্কৃত বস্তুটিকে তিনি খাবার মোড়ানোর কাগজ হিসাবে ব্যাবহার করতে পারেন। হাজার হোক এটাতো ওয়াটারপ্রুফ। তবে তার আইডিয়াকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে আরো দশটি বছরলেগে গেল কারণ সেলোফেন তৈরীর উপযুক্ত মেশিন ততদিনে আবিষ্কার করা গেলো।
আর অবশেষে জনসমক্ষে পরিচিত হলো সেলোফেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।