তাশরিফা জামান,ঢাকা,৩ সেপ্টেম্বর। । মার্কিন রাষ্টদূত মজিনা হঠাতই বেশী পরিমান সক্রিয় হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম যেমন বৈশাখী টেলিভিশন, বাংলানিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কন্ঠ, ডেইলি সান ইত্যাদি পত্রিকা অফিসে ঢু মারা সুরু করলেন। সেটা তিনি সাংবাদিকতার শিক্ষক হিসেবে নিজ উতসাহে করেছেন তাও ধরে নেওয়া যেত।
কিন্তু তিনি যেসব নিউজ মিডিয়া অফিসে গিয়েছেন সবই কম বেশী বিতর্কিত। যেমন বৈশাখী টিভি বিতর্কিত ডেসটেনি গ্রুপের এবং তারা সরকারের উপর নাখোস তাদের নানা ব্যাপারে তদন্তের জন্য। বসুন্ধরার ব্যাপার তো নতুন করে কিছু বলার নেই। তাদের চরম ব্যাবসায়িক সুবিধাবাদী সংঘটন বলা হয়। তাও মেনে নেওয়া যেত যদি গতকাল বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে অনির্ধারিত গোপন বৈঠক না করত।
তাছাড়া বিদ্যুতের মূল্য বুদ্ধি, তারল্য সংকট,দূর্নিতি,সম্ত্রাস,গুম,বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অচল অবস্থা প্রভৃতি ব্যাপারে জনগন বর্তমান সরকারের উপর চরম ভাবে নাখোশ। এর সাথে যোগ হয়েছে ভারতের নানা পত্রিকায় বর্তমান সরকারকে যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় রাখার আবদার। ধারনা করা হয় র' এই নিউজ গুলো করিয়েছে। এর অর্থ দাড়ায় আর্ন্তজাতিক ভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের ইংগিত। যাতে র' তাদের অবস্থান ব্যাক্ষা করল।
ভারত আওয়ামীলীগকে যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় রাখতে চায়। অন্যদিকে মজিনা হয়তো বিএনপি আসলে যুক্তরাষ্ট্র কি কি সুবিধা পাবে এবং দাবী দাওয়া গুলো নিয়ে খালেদার সাথে বৈঠক করেছে। যদিও বিএনপি সূত্র দাবী করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস, পদ্মাসেতু, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
সবমিলিয়ে মজিনার এই হঠাত ব্যস্ত হওয়ার পিছনে কোন পরিবর্তনেরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যা হয়তো আ্ওয়ালীগের পক্ষে নাও যেতে পারে।
সূত্র: ককসটাইম২৪ডটকম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।