leo_abdullah@yahoo.com
পোস্ট ইট নোটস
স্পেন্সার সিলভার ছিলেন থ্রিএমের একজন বিজ্ঞানী। থ্রিএম হলো মিনেসোটা মাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানি। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন এ প্রতিষ্ঠানটি ফার্মাসিউটিকালস, রেডিওলজি ইকুইপমেন্ট, এনার্জি কন্ট্রোল ইকুইপমেন্ট ও অফিস সরঞ্জামসহ বেশ অনেক পণ্যই বাজারজাত করেছিল। ৭০ দশকের শেষ দিকে গিয়ে কম্পানিটির বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ দাড়ায় সাত বিলিয়ন ডলারে।
১৯৭৬ সালের কথা।
স্পেন্সার সিলভার থ্রিএমের রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন শক্তিশালী কোনো অ্যাডহেসিভ তৈরি করা যায় কি না তাই নিয়ে। গবেষণার ফল হলো উল্টোটা। বাজারে এরই মধ্যে যতোটা শক্তিশালী অ্যাডহেসিভ আবিষ্কৃত হয়েছে তার চেয়ে দুর্বল ধরনের কিছু তৈরি হলো তার গবেষণায়। এটা আটকে থাকে কিন্তু খুব সহজেই এটাকে আবার খুলেও নেয়া সম্ভব হয়। দৃশ্যত আবিষ্কারটি তার কাছে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছিল।
এর চার বছর পরের ঘটনা। স্পেন্সার সিলভারের এক সহকর্মী গির্জায় সমবেতভাবে যে ঈশ্বরের প্রশংসাগীত গাওয়া হয় সেখানে গান গাইছিলেন। যে বই থেকে এ ধরনের প্রশংসা বাক্য বা গান গাওয়া হয় তাকে বলা হিয়াম বুক। তো স্পেন্সারের বন্ধুটি হিয়াম বুকের পৃষ্ঠাগুলো একত্রিত রাখতে মার্কার কলম ব্যবহার করা সত্ত্বেও পৃষ্ঠাগুলো বারবার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে বুদ্ধি যোগালো স্পেন্সারের আবিষ্কৃত আঠা।
আঠা লাগিয়ে দেয়ার পর পৃষ্ঠাগুলো জায়গামতোই থাকলো কিন্তু প্রয়োজনের সময় বইয়ের কোনো ক্ষতি না করেই পৃষ্ঠা উল্টানো যাচ্ছিল।
আর এভাবেই আবিষ্কৃত হলো আজকের যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ অফিশিয়াল আইটেম পোস্ট ইট নোটস। পৃথিবীর সব প্রান্তেই এখন এর ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষুদে আঠালো নোট রাখার কাগজটি শুধু অফিসেই নয় বাসা-বাড়িতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়ার ডেস্কের সামনে লাগাচ্ছে কি কি পড়া শেষ করতে হবে, বাবা-মা বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ফ্রিজের গায়ে লাগিয়ে নোট রেখে যাচ্ছে কোন খাবারটা আপনার হালকা গরম করে খেয়ে নিতে হবে- এমনি আরো অনেক কাজে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।