ইউনুস খান যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, ততক্ষণ পাকিস্তানের বড় স্কোরের সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু ২১২ রানে ৭৭ রান করে পাক তারকা আউট হওয়ার পরই যেন বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ইনিংস। এক ব্রায়ান ভেটরির বোলিংয়েই বিধ্বস্ত পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৯৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানেই অলআউট হয়ে যায় মিসবাহ্র দল। মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ভেটরি। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জিম্বাবুয়ের আরেক পেসার পানিঙ্গারাও। তিনি মাত্র ৪১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এই দুই বোলারই পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামিয়েছেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৬৩ রান। গতকাল শুরুটাও ভালোই করেছিল পাকিস্তান। ১৮২ রানের মাথায় ভেটরির শিকার হয়ে ড্রেনিং রুমের পথ ধরেন অধিনায়ক মিসবাহ্-উল-হক। আগের ম্যাচে দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করলেও গতকাল ৩৩ রান করেন।
তারপর আসাদ শফিকও সুবিধা করতে পারেননি। ভরসার প্রতীক ইউনুস খান আউট হওয়ার পর তো টেলএন্ডাররা আর উইকেটে স্থায়ী হয়ে পারেননি। পাকিস্তানের শেষ পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে ১৮ রানেরই মধ্যেই। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান। অবশ্য প্রথম টেস্টেও প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তারপরেও দারুণ এক জয় পেয়েছে মিসবাহর দল। এ ম্যাচেও তেমন কিছু ঘটবে কিনা কে জানে? তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালোই হয়েছে স্বাগতিকদের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ ওভারে এক উইকেটে ৬৪ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।