সংসদীয় তদন্ত কমিটির নির্দেশের পরেও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে
তদন্ত শুরু করেনি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংসদীয় কমিটির তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সম্প্রতি দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক এম আমান উল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত স্বাস্থ্য বিভাগীয় সংসদীয় উপ-কমিটি তদন্ত করে এরই মধ্যে রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্তে
সংসদীয় উপ-কমিটি অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায়। পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। কিন্তু কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে নিজ পদে বহাল থাকলে সেই তদন্ত কতটুকু নিরপেক্ষ হবে, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবদুল্লাহ আল সাফী মজুমদার দুর্নীতি ও অব্যবস্থপনার মাধ্যমে হাসপাতালটি অকার্যকর করে রাখার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছেন। সার্জনদের মতামত অগ্রাহ্য ও সরকারি ক্রয়নীতি তোয়াক্কা না করে হার্ট ভাল্ব ও বাইপাস যন্ত্রপাতি কিনে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্দসাৎ করা হয়েছে। কার্যাদেশে বেশি দামের উন্নতমানের আমেরিকার তৈরির উল্লেখ থাকলেও গ্রহণ করা হয় নেদারল্যান্ডের তৈরি নিম্ন ও কম দামের যন্ত্রপাতি। কোটি টাকা দিয়ে কেনা গ্যাস স্টাইলাইজিং মেশিন ব্যবহারের শুরুতেই নষ্ট হয়ে যায়। পরের বছর একই দামে একই মেশিন কেনা হলেও অল্প দিনেই তাও নষ্ট হয়ে যায়। জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মজিবুর রহমান ফকির বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।