সিলেটে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকালে ভাঙচুর করা হয়েছে ২৫-৩০টি অটোরিকশা। গতকাল বেলা ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরীর চণ্ডীপুল পয়েন্টে চণ্ডীপুল ও নর্থ ইস্ট স্ট্যান্ডের অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে কাঁদুনে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জানা যায়, যাত্রী পরিবহন নিয়ে চণ্ডীপুল স্ট্যান্ডের ম্যানেজার আলমগীরের সঙ্গে নর্থ ইস্ট স্ট্যান্ডের সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে একপর্যায়ে উভয় স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে চণ্ডীপুল পয়েন্টে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেলা ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদিকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উচ্ছেদ করা না হলে ৩ অক্টোবর থেকে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে দুটি পরিবহন সংগঠন। চার দফা দাবিতে গতকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম ও চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারকে চট্টগ্রাম মহানগরী অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম মহানগরী রিকশা চালক-মালিক সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ স্মারকলিপি দিয়েছে।
দাবির মধ্যে আছে, নতুন চার হাজার অটোরিকশার লাইসেন্স প্রকৃত চালকদের নামে দেওয়া, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অংশে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, জেলার নিবন্ধিত অটোরিকশাকে নগরীর প্রবেশ মুখ দিয়ে অন্তত দেড় কিলোমিটার প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং ব্যাটারি চালিত রিকশা উচ্ছেদ, রিকশা তৈরির কারখানা সিলগালা এবং ব্যাটারি, চার্জার, বিদ্যুৎ মিটার, রিকশা তৈরির সব মালামাল আটকের দাবিও জানানো হয়।
স্মারকলিপি দেওয়ার আগে উভয় সংগঠনের কয়েক হাজার শ্রমিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হয়ে দাবি আদায় না হলে ৩ অক্টোবর ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, চার দফা দাবিতে আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৩ অক্টোবর থেকে আমরা ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছি। ওইদিন নগরীতে কোনো ধরনের অটোরিকশা বা প্যাডেল চালিত রিকশা চলবে না। এরপরও যদি কোনো সমাধান না আসে তাহলে আমরা হরতালের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। চট্টগ্রাম মহানগরী রিকশা চালক-মালিক সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. ছিদ্দিক মিয়া বলেন, সিটি করপোরেশন ম্যানুয়েল ও মোটরযান আইনে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশাকে নিবন্ধন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।