যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদকে সামনে রেখে রাস্তাঘাট নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কোনো অভিযোগ নেই। এছাড়া জাতীয় সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়কগুলোকে যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
গতকাল সকালে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাস টার্মিনালগুলোতে টিকিট জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে এটি বন্ধ হয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি হ্রাসে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হরতালকে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এতে এর কার্যকারিতা থাকবে না। এই অস্ত্রটি (হরতাল) ভোঁতা হয়ে যাবে। ঈদের পর ঢাকায় ফেরার সময় যাত্রীদের দুর্ভোগে না ফেলতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তিনি। টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী টিকিট কালোবাজারিসহ অন্য কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী প্রমুখ।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মানুষ হরতালের কারণে কাজের জন্য বেরুতে না পারলে বাধ্য হয়ে তা প্রত্যাখ্যান করবে। আমরাও গাড়ি বের করতে বাধ্য হব। জনস্বার্থেই এটি আমাদের করতে হবে। ভিআইপিদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) জন্য বাস টিকিটের কোটার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় ভিআইপি কোটায় টিকিট রাখার কথা জেনেছি। এটি হবে না। যিনি আগে আসবেন তিনিই টিকিট পাবেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।