বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
বেশ ঘটনা বহুল দিন যাচ্ছে আমাদের। কতো ঘাটের পানি কতো দিকে গড়াচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। রাজনীতির নানারকম সংঘাত-সহিংসতা-ডামাডোল পেরিয়ে পটপরিবর্তন এবং উর্দিপরা বাবুদের মনোটোনাস দেশপ্রেমের কচকচানি। আওয়ামী-বিএনপির ফাচুকে রাজনীতিতে অতিষ্ঠ যে কোন আম পাবলিকের মতো আমিও মিশ্র অনুভুতির হরেক রকম প্রহর পেরিয়ে দর্শকবৃত্তিকেই ব্রত বলে মেনে নিয়েছি। সামহোয়ারের নতুন বেটা কেন্দে-কেটে আমাদের জ্বালিয়ে একশেষ করে মারছে।
রাজনৈতিকে সংঘাতের দিনগুলিতে তৃতীয় শক্তির আভাস আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। আমরা ব্লগেই এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছিলাম। আমি লিখেছিলাম ঝঞ্জার অন্তরালেই কি তৃতীয় শক্তির ভ্র“ন। জামাল ভাস্কর ও রাসেল ভাইও এ বিষয়ে লিখেছিলেন। মূল সুর ছিলো একটিই।
নামকাওয়াস্তে হলেও যে গণতন্ত্র চালু আছে তাকেই সংহত করা দরকার। সামরিকতন্ত্রের প্রত্যাবর্তনের পাকিস্তানীয় কায়দা বা যে কোন রূপ আমাদের আবারো কয়েক বছরের জন্য পিছিয়েই দেবে। দূর্নীতি বা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জেহাদের ঘোষণা দিয়েই এ ধরণের অনির্বাচিত সরকার যাত্রা শুরু করে। তাদের অনিবার্য চরিত্র কি দাঁড়ায় তা জানতে হলে ম্যাজিক জানার দরকার পড়ে না; ইতিহাস জানলেই হয়।
২০০৮ সালের মধ্যে নির্বাচন এরকম আওয়াজ দিয়েই আমাদের সামরিক তত্বাবধায়ক সরকার শুরু করেছেন চুড়ান্ত নোংরা খেলা যা আওয়ামী-বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির চেয়েও ভয়ংকর প্রকারান্তরে।
আমরা দূর্বত্ত রাজনীতিবিদদের বিচার চাই। অবশ্যই হাসিনা-খালেদারও। কিন্তু তাদের নিরাপদে সটকে যেতে দিয়ে মাঠ ফাকা করতে চাই না। যারা তা করছেন তারা কি চান? তারা কি আসলেই দূর্নীতির অবসান চান? কোকো কে ধরা আবার ছেড়ে দেয়া কোন পর্যায়ের নোংরামী? নাকি একটা দীর্ঘমেয়াদী মতার পথ বিস্তৃত করতে চান? অবশ্যই দ্বিতীয়টি। একটি শিশুও আমার সাথে একমত হবে।
যখন সারা দেশের মানুষ একটি রাজনৈতিক সমঝোতা আসা করছিলেন তখন মার্কিন এ্যাম্বাসী একটা ধরি মাছ না ছুই পানি অবস্থা নিয়ে গা বাঁচিয়েছিলেন। আসলে তারা অতি পরিকল্পিত খেলা খেলে ( পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ খেলা বহুবার খেলা হয়েছে) তৃতীয় শক্তির দরজা ফাকা করলেন। কেন করলেন? সে উত্তরও পুরোনো। নির্বাচিত সরকার যতো খারাপই হোক না কেন তার পে টুড়ান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোন সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে যায়। তাহলে গ্যাস-কয়লা-বন্দর-ব্যাংক-বাজার-বীজের ওপর বহুজাতিক আধিপত্য কিভাবে নিরংকুশ হবে?
ইতিমধ্যে অনেক জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কোন প্রতিবাদ হয়নি। সুযোগও ছিলো না। নিকট ভবিষ্যতে বা আগামীতে যেসব বহুজাতিক স্বার্থের কাছে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রতিবাদ হবে তাও আশা করা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা আসবেন বলেছেন। দেখা যাক কি হয়।
তার কাছে আমার তেমন কোন আশা নেই। মতা ছাড়া তাদের আর কোন স্বার্থও নেই। তবুও এটা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এতে করে একটা জিনিস অন্তত স্থাপিত হবে; এ সরকারই শেষ কথা নয়।
আপাতত আকাশে শুধুই কালো মেঘ, আড়ালেও কোন সূর্য হাসছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।