আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরতে বসেছে বিশ্বের 10টি বড় নদী

এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ

সেই মুসার (আ.) নীল নদের যৌবন আর নেই। হাজার হাজার বছর ধরে মিসরীয়দের পানীয় জলের তৃষ্ণা মেটাতো যে দীর্ঘতম নদ, আগামী 2025 সালে নাকি এ নদের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। মিথ আর উপনিষদনির্ভর গঙ্গারও নাকি একই দশা_ এটার আকার ীণ হয়ে যাবে। মানুষের তৈরি সমস্যার কারণে বিশ্বের দীর্ঘতম ও বড় নদীগুলো মরতে বসেছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি পরিবেশ পর্যবেণকারী সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। আগামী আন্তর্জাতিক পানি দিবস উপল েপ্রকাশিত তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নীলনদ, গঙ্গা বা দানিয়ুবের মতো বিশ্বের কমপ ে10টি আন্তর্জাতিক নদীর গতিপ্রবাহ হুমকির মুখে এবং এর ফলে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারাও পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে।

বাঁধ, কৃষি জমি, জাহাজ শিল্প এবং জলবায়ু বিপর্যয়ই এ নদীগুলোর নাশের মূল কারণ। মরতে বসা 10টি নদীর মধ্যে 5টিই এশিয়ায় প্রবাহিত। নদীগুলো হলো, ইয়াংসি, গঙ্গা, মেকন, সালউইন, সিন্ধু, নীল নদ, রিও গ্রান্ড, দানিয়ুব, মারে ডারলিং এবং লা প্লাটা। গতকাল যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি এ নদীগুলোর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বিপর্যস্ত হয়, তাহলে নদী তীরবর্তী কয়েক কোটি মানুষের জীবনযাত্রা বিপদগ্রস্ত হবে এবং কৃষি সেচ ও পানীয় জলের অভাব বাড়বে, এ কারণে খাদ্যাভাবও দেখা দেবে। পরিবেশ পর্যবেণকারী সংস্থা ডবি্লউডবি্লউএফের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নদী বিশ্বে সুপেয় জলের প্রধান উৎস হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নদীকে নিয়ন্ত্রণ করে এ জল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাঁধ দিয়ে বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়া গেলেও এ কারণেই তীরবর্তী ভূমি শুষ্ক ও মরুময় হয়ে উঠছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নদীতে মাছের পরিমাণও কমে যাচ্ছে_ যার ফলে বিশ্বে প্রোটিন সংকট দেখা দেবে বলে ধারণা ডবি্লউডবি্লউএফের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, একেক নদীর সংকটের কারণ এক এক রকম। তবে গঙ্গা ও সিন্ধুকে নিয়ে আপাতত ঘোর চিন্তিত পরিবেশবিদরা। গঙ্গা ও তার শাখানদীগুলোর 60 শতাংশ পানিই ব্যববহৃত হচ্ছে সেচ কাজে।

ভারত গঙ্গায় একের পর এক বাঁধ দিয়ে এর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বিঘি্নত করেছে। তার খেসারত শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশকেও দিতে হবে। এদিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল জলবায়ুও নদীর বিপদ ডেকে আনছে। এ দুটি নদীরই উৎস হলো হিমালয়ের হিমবাহ। পৃথিবীর উষ্ণতার কারণে এরই মধ্যে প্রবল গতিতে হিমবাহের বরফ গলতে শুরু করেছে।

এ কারণেই 2025-এর মধ্যে জল সংকটে পড়বে গঙ্গা ও সিন্ধু। রিপোর্টে আরো অভিযোগ করা হয়েছে, নদী শাসন বা নিয়ন্ত্রণ করলেও নাব্যতা রায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। পানির যথার্থ ব্যবহার এবং সঠিক ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ পর্যবেণকারী এ সংস্থাটি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.