যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
সোনারগাঁ-এর যে বাড়িতে ঢুকতে গিয়া গেটে শুভ'র সাথে ঐ বাড়ির এক মাতবর গোছের লোকের সাথে দার্শনিক আলাপ স্টাইলে বসচা শুরু।
আমরা পুরানো বাড়ি দেখে এগিয়ে গেলে ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা একজন বিরক্ত মুখে জিজ্ঞেস করে, এইটা একটা পুরান বাড়ি। এইটা দেখনের আর ছবি তুলনের কি আছে? শুভ পুরা অফেনসে গিয়া আলাপ শুরু কইরা মানুষটারে প্রথমে দিছে ভচকাইয়া। তার প্রথম গুগলি, "ভাইয়ে লেখাপড়া করছেন নি?"।
আমি মনে মনে কই কাম সারছে!
আমি আর মাশা নিরুত্তাপ মুখে খেয়াল কইরা যাইতাছি শুভ'র তর্ক আর ঝাড়ি।
ভাবসাব এমুন যে শুভরে আমরা চিনি না। যে ধরনের অফেনস দিয়া শুরু হইছে আমরা প্রস্তুত যে ছবি টবি না তুইলাই বিদায় নিতে হবে।
একটু পরে শুনি শুভ আলাপ পুরা ঘুরাইয়া: কেন আমরা অনেক বৃদ্ধ মানুষদের মমতা করি, কেন আমরা আমাদের অতি বৃদ্ধ নানা দাদাদের ভালোবেসে দেখতে যাই, জড়িয়ে ধরি, বুকে টানি ইত্যাদি লাইনে নিয়া যাওনের পরে দেখি সেই কঠিন মুখের মানুষটা আমাদের ভিতরে যাইতে আর আপত্তি করে না।
আমি মাশারে কই, শুভ পারেও! কঠিন ঝাড়ি দিয়া, কঠিন বুঝাইয়া ফেলাইছে চক্ষের নিমেষে। ততক্ষনে আমরা শুভরে পিছনে ফেলাইয়া পুরাতন ঐতিহ্যের আঙ্গিনায় ঘুরতাছি।
পিছন থেইকা কতক্ষন পরে শুভ'র আবার ঝাড়ি, মিয়া আমারে ফেলাইয়া খালি আইসা পড়েন ক্যা? একটু দাড়াইলে কি হয়!?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।