আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাঁটাতারে ঝুলছে বাংলাদেশ

আহমাদ ইউসুফ

ছোটবেলায় খুব শুনতাম দাদী নানীর কাছে গলাকাটা কিংবা এক চোখা দৈত্যের গল্প। আপনিও শুনেছেন হয়তো আমার মতো? এমনকি বইয়ের পাতায়ও পড়ে থাকবেন এক চোখা দৈত্যের গল্প। সেসব ছোটবেলায় শোনা, আশির দশক কিংবা নব্বইয়ের শুরুর কথা একবিংশ শতাব্দীতে ওকালের সবই হয়ে গেছে গল্প গাথা। কিন্তু হায়! কি দেখছি আজ? আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেধেছে মোদের এক চোখা দৈত্য, দানবের রাজ। ত্রিশূলে গাথিয়া দৈত্যরাজ জো হুকুম করছে জারি।

পানির হিস্যা, উজানের বাধ আর সংস্কৃতির ফেরি করি। সবই তাদের দাবী, আর আমরা ভদ্রতায় গদগদ হয়ে ভাবি ট্রানজিট দিয়ে দাদাদের কাছে অর্থ কিভাবে চাহি? আমরা বাংলাদেশী নালায়েক জাতি, গোগ্রাসে গিলি দাদাদের উচ্ছিষ্ট খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। দুএক ফোটা সুবিধা পেয়ে আত্মপ্রসাদ লভি আফসোস! আমরা ভুলে যাই হাজারো ফেলানীর ছবি। টিভির সংবাদে কিংবা পত্রিকার হেডলাইনে তোলপাড় মোড়ের চায়ের দোকান থেকে ওঠে ঝড়। অবাধ প্রচারনা ব্লগে আর ফেসবুকে কিছুদিন যেতেই বাসি হয় খবর, ফেলানীর খোজ কে রাখে? সীমান্ত হত্যা চলছে, কাটাতারে ঝুলছে বাংলাদেশ।

তবুও বিকারহীন জাগ্রত বিবেক পদলেহনে ব্যস্ত সুযোগ সন্ধানী তাবেদার। মূক বধির, স্তব্ধ মানবাধিকার। একের পর পর লাশ হয়ে ঝুলে থাকে, কাটাতারে নিষ্ঠুর অত্যাচারে সীমান্তের বর্ডারে। লাশ হয় আমাদের ভাই, বন্ধু-স্বজন, বাংলার দামাল ছেলে। আর আমরা মেকি ভদ্র সেজে আত্মশুদ্ধি খুজি আলোচনার টেবিলে।

এভাবেই চলছে প্রহসন, ফেলানী হত্যার বিচার আইনের মারপ্যাচে কিংবা এক চোখা দৈত্যের নির্দেশে অমিয় ঘোষ পগার পার কেউ খোজ রাখে না এসব কিসের ইঙ্গিত, কি সমাচার? দৃশ্যতঃ হলুদ মিডিয়া ঝড় তোলে প্রধান শিরোনামে পেপারের কাটতি বাড়বে বলে। তারপর অসীম নিরবতা, দীর্ঘকাল বিচারের বানী নিভৃতে কাদে কাল-মহাকাল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.