আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেয়ারবাজার কারসাজি

শেয়ারবাজার কারসাজির হোতাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি মহাজোট সরকার। সংসদের ৮৮ ভাগ আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃষ্টিকাড়া সাফল্য থাকলেও শেয়ার কারসাজিসহ আরও কিছু কারণে তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি। ৩০ লাখেরও বেশি শেয়ারহোল্ডারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যে কারসাজির ঘটনা তার হোতাদের শাস্তি দিতে না পারা সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামিয়েছে। ৩০ লাখ পরিবারের কাছে ক্ষমতাসীনদের গ্রহণযোগ্যতাকে ম্লান করেছে। শেয়ারবাজার কারসাজির হোতাদের শাস্তি দূরের কথা, খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোও সরকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতাদের ধরতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগও রহস্যজনকভাবে থেমে গেছে মাঝপথে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেই পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। দৈনিক লেনদেন একপর্যায়ে তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সূচক বাড়তে বাড়তে আট হাজারের উপরে উঠে যায়। কারসাজির মাধ্যমে খারাপ কোম্পানির শেয়ারের অতি মূল্যায়ন আর ব্যাংক থেকে সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগের কারণে পাগলা ষাঁড়ের মতো ছুটতে থাকা পুঁজিবাজার ২০১০ সাল থেকেই পড়তে থাকে। একপর্যায়ে দৈনিক লেনদেন নেমে আসে মাত্র ১৬৫ কোটি টাকায়। ওই পতনের ধারা থেকে এখনো কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে ও পতনের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের নেতৃত্বে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৬০ দিন অনুসন্ধান শেষে ওই কমিটি দোষীদের চিহ্নিত করে ১৪৭ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনও জমা দেয় সরকারের কাছে। প্রতিবেদনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে এবং পতনের মূল নায়কদের শাস্তি নিশ্চিত করতে মোট ২৬টি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো কার্যকর হলে সরকারের পক্ষে শেয়ারবাজার কারসাজির দায় যেমন এড়ানো সম্ভব হতো, তেমনি শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আস্থাও ফিরে আসত। কিন্তু সরকারের অপরিণামদর্শী মনোভাবের কারণে তারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে হয়তো সরকারি দলকে এ জন্য বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। আমরা মনে করি, শেয়ারবাজার কারসাজির হোতাদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই- এটি প্রমাণে লুটেরাদের বিরুদ্ধে দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.