আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাসড়কে পরিবহন চাঁদাবাজরা সক্রিয় 'লাইন খর

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন রুটে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পরিবহন চাঁদাবাজরা। 'লাইন খরচের' নামে পথে পথে চাঁদাবাজির মাধ্যমে গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবে প্রশাসনের দাবি, কোরবানির পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি রোধে বৃহত্তর চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী 'জিরো টলারেন্সে' রয়েছে। তাই কারও পক্ষে পথে চাঁদাবাজি সম্ভব হবে না।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদউদ্দিন বলেন, 'পথে পথে চাঁদাবাজি রোধে 'জিরো টলারেন্সে' রয়েছে পুলিশ। মহাসড়কসহ বিভিন্ন রুটে মোবাইল টিম বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাদা পোশাকদারী পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। তাই এবার চাঁদাবাজিমুক্ত হবে পশু পরিবহনকারী গাড়িগুলো।' তিনি জানান, 'সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য ছাড়া পশুবাহী গাড়ি না থামাতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।' গরু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পথে পথে চাঁদাবাজি এখনো বন্ধ হয়নি। গরু পরিবহনের সময় লাইন ও হাত খরচের নামে পুলিশ এবং বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি হচ্ছে। পথে পথে খরচের বর্ণনা দিয়ে যশোরের বেনাপোল থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আজিজুল হক জানান, 'বেনাপোলের পুটখালী থেকে পাইকারের কাছ থেকে গরু কেনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কিছু ছেলেকে গরুপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে। আর কিছুদূর আসার পর ক্ষমতাসীন দলের কিছু নামধারী নেতা-কর্মীকে গাড়িপ্রতি ৩০০০ ও বেনাপোল কাস্টম অফিসকে দিতে হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। এরপর বেনাপোল থেকে হাটহাজারী আসা পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে দিতে হয় গাড়িপ্রতি আরও প্রায় তিন হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বেনাপোল থেকে চট্টগ্রামে আসা পর্যন্ত গাড়িপ্রতি অতিরিক্ত খরচ পড়ে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। সাধারণত একটি ট্রাকে ১০ থেকে ২০টি গরু বা মহিষ পরিবহন করা হয়।

রাজশাহী থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, 'অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পরিবহন খরচ, লাইন খরচ ও গরুর হাটের শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। লাইন খরচের নামে চাঁদাবাজি রোধ করা গেলে গরুপ্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা কম মূল্যে গরু বিক্রি করা যেত।'

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.