আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনুগল্প অথবা গালগল্পো : দুই গাবদুলের মাইনক্যা চিপায় জবেদের আসমানপ্রাপ্তি



গাবদুল খলিল ছটফট করতাছেন। মাইয়া দুইখান ডাক্তর হইছে। দেহের ওজনে যদি ডাক্তরি বিদ্যার ওজন মাপন যাইতো, তাইলে খলিল সাব নিশ্চিন্ত থাকবার পারতেন। তার দুই মাইয়ার মাশাল্লাহ যা ওজন তাইতে তো ডাক্তরি বিদ্যার ওজনে বিশ্বরেকর্ড হইতে পারতো। কিন্তু সেইডা তো আর হয় না।

হের লাইগা খলিল সাব ঠিক দুই ডাক্তরের উপরে ভরসা পান না। তাই ভুইলাও নিজের চিকিৎসা এই দুইডার কারো কাছেই করাবেন না বইলা ঠিক করছেন। কিন্তু দেশের যা পরিস্থিতি তাতে টগবইগ্যা রক্তগঙ্গায় ভাসনের (অবশ্যই খালি পাম বালিশ নিয়া ভাইসা থাকনে) এই আন্দোলন ছাইড়া বাইরে যাওন যাইতাছে না। তার পেসমেকার তো আর দেরি সইতে পারতাছে না। তার নেত্রী খ্যাঁখ বাচিনা কয়দিন আগেই দরদাম করনের লাইগ্যা আমরিকা থন ঘুইরা আইছে।

তাই তিনিও যাইতে পারতাছেন না। ওইদিকে তার দুই নম্বর বউয়ের সাজগোজের বহর দিনে দিনে য্যামনে বাড়তাছে, মনে হইতাছে খলিল সাহেবের তৃতীয় পাণি লইতে হইবো। সব মিলাইয়া ভীষণ পীড়িত খলিল। হঠাৎ কইরা ফোন বাজে। খলিল সাহেব ফোন ধরেন।

ওপার থাইকা সাইলেন্সার ছাড়া মটরসাইকেলের মতোন গলা শোনা গ্যালো। -খলিল সাব, ভালো? খলিলের গলা পরিচিত ঠ্যাকে। তিনি ভাবেন, কে হইতে পারে! খানিকটা পাতিহাঁসের গলায় জানবার চান - কে ভাই? - খলিল সাব, আমি গাবদুল হান্নান চুঁইয়া। চিনবার পারতাছো? - আরে কমবখত, তুই। তা আগে কবি তো।

আমি তো গলা চিনবার পারতাছিলাম না। - কী কস, গলা চিনবার পারতাছস না। কয়দিন আগেই না একলগে সংলাপ সংলাপ খেলা চোদাইলাম! একটু লজ্জিত গলায় খলিল বললেন - চুঁইয়া, তর তো দেখি পুরানা চোদাইন্যা গাইল দেয়ার স্বভাব যায় নাই। আর সংলাপ সংলাপ খেলা কইতাস ক্যা? ওইডাতো আমরা সত্যি সত্যি সংলাপ করছিলাম। - হ, সংলাপ না ছাই আছিলো।

তুই জানোস আমিও জানি। ওই একটু বিউটি আপার পরামর্শে বইছিলাম আর কি। বোঝোসই তো, তুই তো ফেল করনের পরেও মাত্র দেড় বছর মন্ত্রী থাইক্যা মার্কেন্টাইল পয়দা করছস। আমাগোরও তো কিছু পয়দা করনের শখ থাকে। 5 বছরে তো ভালো মতো পয়দা করবার পারলাম না।

শালা হারেক সহমানের দাপট আমরা হারে হারে টের পাইছি। তাই যদি বিউটি আপায় আরেকবার দয়া করে তাইলে আরো কয় বছর গদি ধইরা তোর মতোন চার-পাঁচটা ব্যাংক পয়দা করন যায় কি না সেই আশায় আছিলাম। - ওইসব বাদ দে, কামের কথা ক। কি অবস্থা তগো? - আরে অবস্থা বালেদা পিয়ার রূপচর্চা করনেই তো টাইম শ্যাষ। দল গুছামু কহন।

আর লগে জুটছে খিজামি, চুদাহিদ, মাইদিরা। দেখলি না, কাইল ক্যামনে ওগোর লোক মারা গেছে সেই কইলাম না, আর পাশে বইসা থাইক্যা ফুঁসতাছিলো। - যাক গ্যা, কি কইবি, তাড়াতাড়ি ক, সময় বহুত কম। শরীর ভালো না। ... এরপর আলাপ দীর্ঘ হয়।

পরের দিন সকাল বেলা : টেরাকের ওপর মঞ্চ। খলিল সাব মাইক নিয়া ভাষণ দিতাছেন। কইতাছেন, '5 বছর মতায় থাইক্যা চুঁইয়া দ্যাশের সম্পদ সব চুঁইয়া আর দুইয়া নিছে। হেগোর প্রতিহত করণ লাগবো। আসেন ভাই, আগামী নির্বাচনে আমরা চুঁইয়াগো শক্ত মতোন গুতা মারি।

হেরপর আমগোরে একটু চান্স দ্যান, আমরা আপনাগো গুঁতা মাইরা উন্নয়নের সুনামিতে ভাসাইয়া লইয়া যাই...'। চুঁইয়া ব্রিফিং করতাছেন। সাংবাদিক চুনি্ন আহা প্রশ্ন করতাছেন - মাননীয় মহাসচিব, খলিল সাব যে আপনার বিরুদ্ধে এতোকিছু কইলো... - আরে রাহেন না। কে লুটপাট করছে সেইডা তো দ্যাশের মানুষ জানে। 5 বছরের মইধ্যে মাত্র দেড় বছর মন্ত্রী থাইক্যা কি না করছে খলিল।

দেশটারে লুইট্যাপুইট্যা খাইছে সিনেমার ভিলেন খলিলের মতোন। অহন হেরা আবার বড় বড় কথা কয়। আমগোর ভোট দ্যান। সুনামি তো কি, আমরা আপনাগো পরের বছর উন্নয়নের কেয়ামত দিমু...' ফুটপাথে বইসা আছে জবেদ আলী। কাম পায়নি।

পকেটে টাকা নাই। ও পকেটই তো নাই। লুঙ্গির ফাঁসে টাকার বদলে বিড়ি আছে। জবেদ আলী দুইজনের বর্ক্তৃতাই শুনছে। পেটে ভাত না থাকলে কি হয়, বর্ক্তৃতা শোননডা জরুরি।

জবেদ আলী ভাবতাছে, তাগোর পথ আসলে কোনডা। যাউক। যে পথেই যাক না ক্যান, খিদার জ্বালায় তো আর মরণ হইবো না। নেতারা তো কইছেনই, একজন দিবেন সুনামি আরেকজন কেয়ামত। অহন ভালোয় ভালোয় আসমানে উঠবার পারলেই হয়!


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।