সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, আমি না করলে আপনি করবেন, না হলে আরেকজন করবে। প্রকাশ হবেই বাংলাদেশে মানবতাবাদী মানুষের অভাব নাই। আমি তাদের সাথে সহমত। মানুষের প্রতি মমত্ববোধকে আমি মনে প্রানে শ্রদ্ধা করি। তাদেরকে হাজার সালাম জানাই।
কিন্তু সেই মানবতাবাদীরা ইসলাম ধর্মের প্রতি এত বিরোপ কেন? তা আমার জানা নাই।
যখনই কোন ভিন্নধর্মালম্বী মানুষের বিপক্ষে কথা বলা হয় তা মানবতাবিরোধী বলে চারিদিকে রব উঠে। কোন বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা উপজাতির বিপক্ষে কোন মুসলিম কথা বললে সে হয় উগ্রবাদী, অন্ধবিশ্বাসী আর মানবীয় মূল্যবোধহীন। কিন্তু যখন কোন মুসলিমের বিশ্বাসে কোন অমুসলিম আঘাত করে তখন কারো গায়ে লাগেনা। কেননা মুসলিমদের প্রতি অবিচার, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর যুগ থেকেই চলে আসছে ।
আর ধরেই নেয়া হয়েছে, তারা সহ্যসীমার চুড়ান্ত পরিক্ষা দেবে ,। তাদের ধর্মে কেউ আঘাত করলে তাকে মাফ করে দিবে, কেননা ইসলাম শান্তির ধর্ম…… আজব এই নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকব আর কতদিন??
১, আসিফ মহিউদ্দিন, আহত হলেন। কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা সে নিজেও জানে না। FIR এ তিনি সে রকমই বর্ণনা করেছেনঃ "আমি আসিফ মহিউদ্দীন,…। কর্মস্থলের প্রবেশের আগ মুহূর্তে রিক্সা ভাড়া দেয়ার সময়, কর্মস্থলের গেটে অপেক্ষারত তিন জন যুবক আমাকে অতর্কিতে আক্রমণ করে।
ঐ তিন জন যুবক প্রথমেই আমার মুখ ঢেকে ফেলেছিল ও চাপাতির বাঁট দিয়ে আমার চশমা ফেরে দিয়েছিল বলে তাদের আমি চিনতে পারিনি। তারা চাপাতি, ছুরি ও ড্যাগার দিয়ে পেছন থেকে আমাকে আক্রমণ করে……।
ভাল কথা। পুলিশ তদন্ত করবে বা করছে। কিন্তু এই কুলাংগারের কিছু অনুসারী প্রচার করা শুরু করেছে যে, উগ্রবাদী মুসলিম তাকে আক্রম্ন করেছে।
। তারা যদি এতই নিশ্চিত হন তাহলে প্রমানসহ পুলিশের কাছে সেই উগ্রবাদীদের ধরিয়ে দিন। পুলিশকে সাহায্য করা আপনার নৈতিক দায়িত্ব্য। সুতরাং দায়িত্ব্যে অবহেলা করবেন না। অন্তত আপনার গুনধর উস্তাদের আক্রমনকারীর বিচার নিশ্চয় চান???!!!আমি ও আপনি দুজনেই জানি যে, আপনার কাছে কোন প্রমান নেই কাজেই লাফালাফি বন্ধ করুন …
২, আমি ধরে নিলাম আপনার কথাই ঠিক, উগ্রবাদী বা মৌলবাদী মুসলিমই আপনাদের উস্তাদের এই চড়ম ব্যবস্থা করেছেন।
আমার প্রশ্ন হল, দুনিয়াতে নাস্তিকের অভাব নাই । বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ নাস্তিকবাদ বা সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করে। তাহলে আপনার উস্তাদকেই কেন আঘাত করা হল??
৩, আসিফের কিছু পোষ্ট পরলাম। সেখানে তিনি ইসলামকে অবমাননা করেছেন। তিনি আমাদের নবী(সাঃ)কে নিয়ে কটূকথা বলেছেন।
অন্যধর্মের অবমাননা নাস্তিকতার লক্ষন নয় বরং তা অমানুষের লক্ষন। কোন নাস্তিক কখনও অন্যধর্মকে তুচ্ছ করেন না। বরং তা এরিয়ে চলেন । একজন আত্মস্বীকৃত নাস্তিকের লেখা অনুযায়ীঃ James E Archer , Fundamental Principle of Atheismঃ There are no spiritual forces in the universe and Atheists do not worship the devil.
a.Principle of Rationality: Truth is determined by logic and evidence
b.Atheism promotes a respect for nature and humanity
c.Atheists cannot avoid responsibility for their actions
এখন দেখা যাক আসিফের কার্যকলাপঃ Click This Link
একটু পড়ে দেখুনতো এই কুলাংগার নাস্তিকতার কোন নীতি মেনে চলে??
সে সমাজের কল্যান দূরে থাক, ইসলাম এর সমালোচনার নামে ভুল-ভাল যুক্তি দিয়ে ফ্যাসাদের সৃষ্টি করে। আর সে সত্যি কে যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমানিত করতে চায়।
যা নাস্তিকতার বিপরীত। । তাহলে আসিফ তো নাস্তিক নামেরও কলংক।
যেহেতু নাস্তিক তার কাজের জন্য দায়ী সেহেতু তাকে আঘাত করার জন্যও সে নিজেই ফায়ী। কারন নাস্তিকবাদ অনুযায়ী কোন নাস্তিক তার কাজের জন্য দায়ী থাকে।
৪। চট্রগ্রামের রামু হত্যাকান্ডে খুব মর্মাহত হয়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম বার্মাতে মুসলিমদের পাখির মত হত্যা করা হল আর নোবেলজয়ী সু চি বললেন ; এটা সরকারের ব্যাপার,। জাতি সংঘ নির্বাক। তখন বুঝলাম আমরা মুসলিম বলে আমাদের মানবাধিকার নাই।
আমাদের মানুষ বলে কোন দাম নাই।
আসিফের জন্য আন্দোলন করবেন, কিন্তু কেন? আসিফ ইসলামের বিরোধিতা করে বলে?? নাকি সে আহত হয়েছে বলে। যদি আহত হওয়ার প্রতিবাদ করতে চান তবে করুন। কিন্তু প্রত্যেকদিন আপনাকে আন্দোলন করতে হবে, কারন কেউ না কেউ প্রতিদিনই আহত হচ্ছে। যদি তা না করুন তাহলে ভেবে নে্ব, আসিফ ইসলামের বিরোধিতা করে বলে আপনি তার জন্যে আন্দোলন করছেন।
আসিফ সত্যি কার অর্থে নাস্তিক নয়, সে ইসলাম বিরোধী মানুষ। সে ইসলামের সমালোচনার নামে অপপ্রচার চালিয়ে বিখ্যাত হতে চায়। তারমত মানুষ নামের পশুর শাস্তি দাবি করছি। কেননা, সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনকল্যাণ ও নৈতিকতার ব্যত্যয় না ঘটিয়ে, প্রত্যেক মানুষ তার ধর্ম পালনে স্বাধীন থাকবেন। সে যেহেতু ইসলামের অপপ্রচার করে নৈতিকতার ব্যত্যয় ঘটিয়েছে তাই তার শাস্তির দাবি করছি।
পরিশেষে বলব, মানুষ হিসেবে, একজন মুসলিম হিসেবে, আমি আসিফের জন্য আন্দোলন দূরে থাকুক বিচারও চাই না। তার ভন্ডামীর জন্য জুতাপেটা করতে চাই। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।