ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..
আকাশের বিছানায় কয়েকটি প্রজাপতি ঘুমিয়ে আছে। তাদের চোখে-মুখে প্রশান্তির উজ্জ্বল ছায়ায় একটা অন্যরকম সুখ সুখ ভাব ফুঁটে উঠছে। আঁধারের ফুলগুলোও তাদের নিত্যদিনের শেষ কাজগুলো সেরে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে একটা বাদলা ঝড়ের যে আবহ তৈরী হচ্ছিল তাও থেমে গেছে। আস্তে আস্তে চারিদিকে নিশ্চুপ নিরালার সেই চির পরিচিত সুরটি বাঁজতে শুরু করেছে।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমের দেশে তলিয়ে যাবে সারা পৃথিবী, শুধু আমি ছাড়া।
প্রতিরাতের মতো আজও শুরু হয়ে গেছে বুকের কবরে মাছ চাষের গল্প। দখিনা বাতাসে ফুরফুরে মেজাজে এক দৌড়ে চলে গেলাম নিজস্ব বেলাভূমিতে। সমুদ্র জলে স্নান সেরে যেই না সৈকতে দাড়ালাম, অমনি দেখতে পেলাম হতাশার নৌকাগুলো কি প্রবল বেগে ছুটে চলেছে নিরাশার খোঁজে। কেন জানিনা, এক মূহুর্তের মধ্যে ভেতরের বাতাস উল্টো স্রোতে বইতে শুরু করল।
আমি আস্তে আস্তে কবর হতে বেরিয়ে এলাম।
ভোরের সূর্যোদয়ের পূর্ব নিঃশ্বাসের শব্দে কয়েকটি পাখির ঘুম ভেঙে গেল। তারা কিচির মিচির শব্দে সুস্বাগতম জানাচ্ছে মহারাজা সূর্যকে। এরই ফাঁকে দুটি ধবধবে কালো কাক কোথা হতে যেন উড়ে এসে বারান্দার গ্রীলে বসল। কিছুক্ষণ পরপর তাদের কর্কশ হৃদয় হতে ভেসে আসতে লাগলো কা কা ধ্বনির তীক্ষ্ণ উল্লাস।
মাথাটা কেমন যেন ঝিম ঝিম লাগছে। মাঝে মাঝে ভেতর হতে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকও শুনতে পেলাম। কেমন অদ্ভুত লাগে সেই ডাক। মনে হয় তারা যেন কি বলতে চায় আমায়। কিন্তু তাদের সেই ধ্বনির অর্থ বুঝতে পারি না আমি।
কি মনে করে গোসল খানায় ঢুকে কয়েক ঝাপটা পানিতে মুখ চোখ ধুয়ে নিলাম।
মনের গহীনে নিজস্ব চাঁদটি কেমন বীভৎস দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আর আমি আনমনে নদীর উজান ঠেলে ছুটে চলেছি অজানা কোন এক গন্তব্যের খোঁজে......................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।