আমরা আজ তেমনি কিছু মন্দির, ধর্মকেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করবো। স্থাপত্য নৈপুন্য এবং নানা ইতিহাস কিংবদন্তীতে সমৃদ্ধ ্সব মন্দিরগুলো দেশ বিদেশে পর্যটকদের নিকট অন্যতম দর্শনীয় বিষয়।
স্বয়ম্ভুনাথ স্তুপাঃ
নেপালে বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পর্ন গম্বুজওয়ালা মন্দিরকে বলা হয় স্তুপা। স্বয়ম্ভুনাথ মন্দিরও অনুরুপ গম্বুজবিশিষ্ট বিশেষ স্থাপত্য বৈশিষ্ট সম্পন্ন। এটিকে স্বয়ম্ভুনাথ স্তুপাও বলা হয়।
স্বয়ম্ভু স্তুপাটি কাঠমান্ডু শহরের পশ্চিম, পশ্চিম উত্তর প্রান্তের
একটি পাহাড়ের শীর্ষভাগে অবস্থিত। এটি একটি বৌদ্ধ মন্দির। স্বয়ম্ভু স্তুপা ঘিরে রয়েছে নানা মিথ। যেমন কাঠমান্ডু উপত্যাকার ইতিহাসের শুরু এই স্তুপা থেকে। বলা হয়ে থাকে প্রগৈতিকহাসিক কোন এক সময় "বোধিসত্ব মঞ্জুশ্রী" ঘুরতে ঘুরতে সুন্দর এক হ্নদের পাড়ে এস চমৎকার আলোকরশ্মি।
তখন তার পুজা করার জন্য দক্ষিন দিকের পাহাড় কেটে হ্রদের পানি সরিয়ে দেন। পাহাড় কাটার ফলে তৈরী সুগভীর খাদের অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান। খাদ কাটার সব পানি সরে গেলে লোকজন হ্রদের তলদেশে বসবাস শুরু করে এবং এভাবেই গোড়াপত্তন হয় কাঠমান্ডু উপত্যাকার। স্বয়ম্ভুনাথ স্তুপার পাহাড় চুড়াটি একটি বিরাট বানরের গ্রোত্রের বসবাস থাকায় এমন্দিরটির পরিচয়ে মাংকি টেম্পলও বলা হয়ে থাকে। বিশাল স্বয়ম্ভুনাথ স্তুপার চারপাশ ঘিরে রয়েছে আরও বেশ কিছু মন্দির ও গুম্ফা।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বজ্র- যেটি নির্মিত হয়েছিল মাল্লা রাজবংশের সময় কালে। স্বয়ম্ভুনাথ স্তুপার শীর্ষ ভাগে রয়েছে চতুষ্কোন সোনালী বর্নের একটি ব্লক। যেখান থেকে বুদ্ধের দৃষ্টি ছড়িয়ে আছে উপত্যাকার দুর প্রান্তের দিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।