কাঠমান্ডু উপত্যাকাটি পূর্ব পশ্চিমে 25 কিলোমিটার এবং উত্তরে দক্ষিনে 20 কিলোমিটার, আর উচ্চত্ 1300 মিটার। কাঠমান্ডু উপত্যাকার আদি বাসিন্দাদের বলা হয় নিওয়ার। তারা কথা বলে নিওয়ারী ভাষায়। শারিরীক গঠনের দিক দিয়ে তাদেরকে মঙ্গোলীয় গোত্রের বলে চিহ্নিত করা যায। কাঠমান্ডু উপত্যাকাটি দীর্ঘকার ধরে দেশের পূর্ব পশ্চিমের সাংস্কৃতিক মিলনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
কাঠমান্ডু উপত্যাকায় কাঠমান্ডু, পাটান এবং ভক্তপুর এ তিনটি শহর ছাড়াও (ম্যাপ দ্রাষ্টব্য) নাগরকোট, ধুলিখেল, কীর্তিপুর, থানকোট, সাংখু, চাপাগাঁও, গোদাবরী ইত্যাদি জনপদ এবং অনেকগুলি প্রখ্যাত মন্দির বিদ্যমান। কাঠমান্ডুর একসময় মাল্লা রাজাদের শাসনাধীনে ছিল। সে সময়টি ছিল 1600 থেকে 1700 সাল। 1968 সালে গোর্খা রাজ পৃথি্বনারায়ন শাহ নেপালকে
এককেন্দ্রিক ঐক্যবদ্ধতায় ফিরিয়ে আনেন।
কাঠমান্ডুর উপত্যকা ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে তিনটি প্রধান শহরের উপর ছাড়া বিস্থার করে আছে- এগুলো হচ্ছে কাঠমান্ডু, পাটান(ললিতপুর) এবং ভুক্তপুর (ভারগাও)।
কাঠমান্ডুর উপত্যাকায় অধিকাংশ মানুষ্ই হিন্দু ধর্মাবলম্বী, আর এখানেও রয়েছে জাতিভেদ বা বর্নভেদ প্রথা। দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হচ্ছে বৌদ্ধধর্ম। এ কারনে পুরো উপত্যাকা জুড়ে যুগে যুগে গড়ে উঠেছে বহু মন্দির, স্তুপা, ধর্মকেন্দ্র ও স্মৃতিমন্দির। আর নেপাল ভ্রমনকারীদের নিকট এসব বৈচিত্রপূর্ন মন্দিরগুলো অন্যতম দর্শনীয় বিষয়। এসব মন্দিরের আবার রয়েছে নানা ইতিহাস নানা কিংবদন্তী।
এছাড়া এখানে রয়েছে কাঠমান্ডুর সমাজ ও সাংস্কৃতিক জীবনের বৈচিত্র ুআর রয়েছে এর অনন্য পার্বত্য সৌন্দর্য। কাটমান্ডু শহরটিটি সবুজ বৃক্ষরাজি শোভিত পাহাড় পর্বতে ঘেরা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।