আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেপালের ইতিহাস 2



যারা সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত কাঠমান্ডু উপত্যকায় তিনটি পৃথক রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। যাদের কৃতিত্ব শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, মন্দির, মুর্তি নির্মাণ ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়িয়ে আছে দেশের সর্বত্র। তাদের আমলে দুরবতর্ী নেপাল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রায় অর্ধশত রাজার অধীনে বিভক্ত ছিল। গুখা নামের তেমনি একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের শাসক ছিলেন রাজা পৃথ্বী নারায়ন শাহ, যিনি 1968 সালে মল্লরাজাদের পরাজিত করে কাঠমান্ডু নিজের অধিকারে আনেন ও সমগ্র নেপালকে একত্রিত করেন। আজ পর্যন্ত শাহ বংশ নেপাল শাসন করছেন।

1768 সালের পরবর্তী পাঁচশ বছর শাহ বংশ নেপালের সীমানাকে উত্তরোত্তর বাড়িয়ে চলেন। 1817 সালে রাজ্য বিস্তার ধারা থেমে যায় ভারতের ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ায়। 1857 সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার উদ্যেগ সিপাহী বিদ্রোহের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সাহায্য করার পুরস্কার স্বরুপ নেপালকে অধিকৃত ভুখন্ডের পুরোটাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে নেপালের বর্তমান ভৌগোলিক সীমানার উৎপত্তি। মাঝখানে 1846 সালে রানা বংশের প্রধানমন্ত্রী জং বাহাদুর 'কট গনহত্যার' মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে।

পরের একশ বছর রানা বংশের প্রধানমন্ত্রীরা শাসন চালান, যারা কাঠমন্ডুতে অসংখ্য বিপুলায়তন প্রসাদ তৈরি করেন, যা এখন সরকারী অফিস, যেমন: বিখ্যাত সিংহ দরবার, প্রধানমন্ত্রীদের বাসস্থান, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সচিবালয়। উপনিবেশিকতাদের স্বর্ন সময়ে নেপাল নিজস্ব স্বাধীন সত্তা বজায় রাখে, একদিনের জন্যও বিদেশীদের অধীনে থাকেনি। তবে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় ভারত-সংলগ্ন তরাই বনাঞ্চলে ইংরেজদের শিকারের অধিকার দিতে হতো। 1911 সালে ব্রিটিশরাজ পঞ্চম জর্জ তরাইয়ে শিকার করে গেছেন। 1951 সলে রাজা ত্রিভুবন ভারতের সমর্থনে রানা বংশকে উৎখাত করেন।

1955 সালে রাজা ত্রিভুবন মারা গেলে তার পুত্র মহেন্দ্র রাজা হন। একই বছর নেপাল জাতিসংঘের সদস্য হয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদেও নেপাল নির্বাচিত হয়। 1958 সালে নেপালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভারতপন্থী নেপালী কংগ্রেস নিংকুশ বিজয়ী হয়। প্রথম নির্বাচীত প্রধানমন্ত্রী হন বিপি কৈরালা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।