ক্ষুধার্ত কোডারের প্যাঁচাল
আমাদের এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে
"জীবনে কাউকে সালাম দিলাম না, আজকে যা দিলাম তাও পড়ল বৈরাগী".
রাজশাহীতে থাকতে গত মাসে অনেক শখ করে ইস্টার্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুললাম ভিসা কার্ড নেয়ার জন্য। রাজশাহীতে এটিএম কার্ড ব্যবহারের তেমন জায়গা নেই। আজকে গুলশানে পূবালী ব্যাংকের এটিএম(কিউ ক্যাশ) বুথে ঢুকলাম ব্যালেনস চেক করার জন্য। এটিই আমার প্রথম এটিএম ব্যবহার। ঢুকতেই দেখি ইন্টারনেট লাইন নেই।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর এটিএমটি সচল হল। ভয়ে ভয়ে কার্ডটি ঢুকালাম। পিন নাম্বার চাইলে দিলাম। একাউন্টে সফল লগিন হল। ব্যালেনস দেখলাম।
আমার কাজ শেষ। এখন এক্সিট দিতেই দেখলাম কার্ডটির কিছু অংশ বের হয়ে এল। বুঝলাম এখন এটি নিতে হবে। হালকা করে টান দিতেই দেখলাম খুব টাইট। ভাবলাম বোধহয় এখনও বের করার সময় হয়নি।
তাই দাড়িয়ে থাকলাম এবং স্ক্রিনে এখন কোন এক্সিট বাটন আছে কিনা খুজলাম।
হঠাৎ দেখি কার্ডটি আবার ভেতরে চলে গেল এবং স্ক্রিনে লেখা এল "আপনার কার্ডটি ক্যাপচার করা হল, ইসু্যার ব্যাংকে যোগাযোগ করুন"। মেজাজ যে কি পরিমান খারাপ হল বোঝাতে পারব না। কিছুই বুঝতে পারলাম না। গার্ডকে জানাতেই সে বলল পূবালী ব্যাংকেই যোগাযোগ করেন।
গেলাম। কম্পিউটারে বসা লোকটিকে বলতেই সে এমন ভাবে মাথা নাড়াল, বুঝতে পারলাম সে কম্পিউটারে বিষয়টি সম্পর্কে হয়ত এলার্ট পেয়েছে। আমাকে বলল একটা এপ্লিকেশন করে জমা দিতে। আগামী কাল (মঙ্গলবার) 3টার পরে কার্ড দেয়া হবে।
রাগে আমার শরীর গরগর করছিল।
এটার জন্য আবার আরেকদিন পরে আসতে হবে। কি আর করা বাধ্য হয়ে একটি এপ্লিকেশন দিয়ে আসলাম পূবালী ব্যাংকের এক অফিসারের কাছে। এপ্লিকেশন দিতে যেয়ে দেখি উনি টেবিলের উপর ঘুমাচ্ছেন! হায়রে!!! ডেকে তুলে তারপর তা জমা দিতে হল।
এই হল আমার প্রথম দিনের এটিএম কার্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা! কি দারূন!!!
আমিও বৈরাগীর কবলে পড়লাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।