আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালো থাবা ঠেকাতে হবে

লুটেরা রাজনীতির নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মানেই জাতীয় সম্পত্তি। সোনালী ব্যাংকও সে অভিধার অধিকারী। কিন্তু যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের লুণ্ঠন প্রক্রিয়ার শিকার হয়ে এ ব্যাংকটি এখন শূন্য হওয়ার পথে। ঋণ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও অনিয়ম এ ব্যাংকের নিত্যসঙ্গী হওয়ায় এটি এখন দেশের সবচেয়ে খারাপ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর ব্যাংকটিতে মোট মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। তবে এ মুনাফা শুভঙ্করের ফাঁকিতে পরিণত হয়েছে ঝুঁকিভিত্তিক প্রভিশন ঘাটতির কারণে। প্রভিশন ঘাটতির বিবেচনায় সোনালী ব্যাংকের নিট ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের মুনাফাকে সত্যিকারের মুনাফা হিসাবে ধরলেও এ ক্ষতিপূরণে তাদের বর্তমান মুনাফার হিসাবেও ৩০৯ বছর লেগে যাবে। সরকারি হিসাবেই সোনালী ব্যাংক পঞ্চম গ্রেডে নেমে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য তিনটি ব্যাংক জনতা, অগ্রণী ও রূপালী রয়েছে চতুর্থ গ্রেডে, সোনালী ব্যাংকের মতো অতটা অধঃপতিত না হলেও আছে সংকটজনক অবস্থায়। সরকারি হিসাবমতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৫ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর এ জীর্ণ অবস্থার কারণ ব্যাখ্যা করে ব্যাংকিং সম্পর্কিত সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, সম্পদের গুণগত মান বিবেচনা না করে ঋণ মঞ্জুর করে সরকারি ব্যাংকগুলো। বিতরণকৃত ঋণের নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় মন্দ ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থাও দুর্বল। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছেন। অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, সুশাসন ও স্বচ্ছতার অভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ কলামে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছি। বিশেষত ব্যাংকগুলোতে সরকারি দলের কর্তাব্যক্তি ও সিবিএ নেতাদের যোগসাজশে অসৎ কর্মকর্তারা যে লুটেরা তৎপরতা চালাচ্ছে, তার অবসানে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, লুটপাটের কালো থাবা ঠেকানো সম্ভব হলে সোনালী ব্যাংক আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.