আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেহাল ট্রাফিক ব্যবস্থা

সোয়া পাঁচ বছর আগে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে। রাজধানীর ট্রাফিক সিস্টেম ডিজিটাল করার নামে গত পাঁচ বছরে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও 'ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল'র নিয়তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতির সিগন্যাল স্থাপনে বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও ট্রাফিক ব্যবস্থা চলছে হাত ও বাঁশির সেই এনালগ পদ্ধতিতে। যথাযথ সমন্বয়ের অভাব এবং মাত্রাতিরিক্ত যানজটের কারণে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল কার্যকর করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। রাজধানীর বেহাল ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সহযোগী দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশ বা ডিএমপি এলাকায় মোট ৭৫ পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে ৩৪, পূর্ব বিভাগে ১২টি এবং উত্তরে ১১টি ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সচল সিগন্যালের সংখ্যা মাত্র ১২টি। আংশিক সচল সিগন্যালের সংখ্যা ৩৬ এবং অচল সিগন্যালের সংখ্যা ২৭টি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বৈঠকে অচল সিগন্যালের সংখ্যা ৩৯টি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমন্বয়ের অভাবে ঢাকা মহানগরীর ডিজিটাল ট্রাফিক সিনগ্যাল ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সিনগ্যাল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ, কিন্তু সরঞ্জাম সরবরাহের দায়িত্ব ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওপর। ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার ক্ষেত্রে ডিসিসি ও ডিএমপির মধ্যে প্রায়ই দড়ি টানাটানির বিড়ম্বনা ঘটছে। সিগন্যাল না মানার প্রবণতা ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু রাখার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করছে। এ বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেতে হলে ট্রাফিক পরিচালনাকারী সংস্থার হাতেই সরঞ্জাম সরবরাহের দায়িত্ব অর্পণের কথা ভাবতে হবে। দুনিয়ার অন্যান্য মহানগরীতে যে পদ্ধতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনা হয়েছে তা অনুসরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.