শীতে কোমড় ও পায়ের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। এ সময় শরীরের রক্ত চলাচল কম হয়। শীতে কোমড় বা অন্যান্য জয়েন্টের মাংস পেশীতে ক্র্যাম্প হয় বা টান বেশি লাগে। এতে মেরুদণ্ডের মাংস পেশী ইমব্যালেন্স হয় বা ভার সম্যতা কমে যায়। ফলে মেরুদণ্ডের ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ পরে। এতে ডিস্ক প্রলাপ্স হয় এবং ব্যথা পায়ে চলে যায় এবং সায়াটিকার উৎপত্তি হয়।
শীতে সায়াটিকার কিছু টিপস: বাইরে বের হওয়ার আগে ও মাংস পেশী অথবা জয়েন্টের স্ট্রেচিং করতে হবে।
হঠাৎ অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কাজ না করা। এতে পায়ের শীন শীন ব্যথা বা ঝিন ঝিন হতে পারে। পায়ে মোজাসহ সঠিক শীতের পোশাক পরতে হবে। যাতে শরীর এবং পা স্বাভাবিক গরম থাকে। এতে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গেলাস পানি পান করা। শরীরের ওজন সঠিক রাখা এবং পায়ের ব্যথা অবস্থায় বেশি হাঁটাহাঁটি না করা।
তোষকের বিছানা ব্যবহার করা। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, বেশি করে শীতের সবজি খাওয়া, নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা, তবে ব্যায়ামের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যাতে সায়াটিকার ব্যথা বৃদ্ধি না পায়।
চিকিৎসা : চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যানুয়াল থেরাপি, ম্যানুপুলেশন থেরাপি, মেরুদণ্ডের মাংস পেশীর ব্যালেন্স থেরাপি।
ডা. মোঃ শাহাদৎ হোসেন
কন্সালটেন্ট, পপুলার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৫৪৫১৫২৫
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।