৪০ পরবর্তী বেশীরভাগ মানুষের কোমর ও পায়ের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। কারণ কোমর বা অন্যান্য জয়েন্টের মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প হয় বা টান বেশি লাগে। এতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশি ইমব্যালেন্স বা ভারসাম্যতা কমে যায়। ফলে মেরুদণ্ডের ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে ডিস্ক প্রলাপ্স হয় এবং ব্যথা পায়ে চলে গিয়ে সায়াটিকার উৎপত্তি হয়।
কারণ : মেরুদণ্ডের হাড় সরে গিয়ে যদি সায়াটিক নার্ভের চাপ দেয়। পাইরিফরমিস মাংস পেশি শক্ত হয়ে গেলে। ডিস্ক প্রলাপ্সের কারণে কোমর থেকে জেলি বের হয়ে নার্ভের ওপর চাপ দিলে। ডিজেনারেশন বা স্পন্ডাইলোসিস হলে (কোমরের হাড় ক্ষয় বা বেড়ে যাওয়া)। গর্ভাবস্থায় সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে।
লক্ষণ : ব্যথা কোমর থেকে নিজ দিকে গেলে। পা ঝিন ঝিন, জ্বালাপোড়া, ভারী ভারী এবং অবস অবস হলে। পায়ের ব্যথাটা শিন শিন বা কালাইয়া নিতে পারে। বেশিরভাগ সময়ে হাঁটতে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। তবে রাতে ঘুমে অথবা বসে থাকলেও সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে। ঠাণ্ডায় ব্যথা বেশি হয়।
চিকিৎসা : নিম্নলিখিত চিকিৎসাগুলো সায়াটিকার জন্য বিশেযভাবে কার্যকর, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যানুয়াল থেরাপি, ম্যানুপুলেশন থেরাপি, মেরুদণ্ডের মাংস পেশির ব্যালেন্স বা মেডিসিন থেরাপি।
ডা. শাহাদৎ হোসেন, কনসালটেন্ট, পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল। ফোন : ০১৭১৫৪৫১৫২৫
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।