আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেরা ফেরি.... আবার !

পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ

হিন্দি ছবি নিয়া আর সব বাঙালী টেন্ডস-টু-আঁতেল পাবলিকদের মতন আমিও একটু নাক উঁচা ভাব ধইরা থাকি। "অপসংস্কৃতির আগ্রাসন' - এর মত কঠিন অথবা " এই হিন্দি সিনেমাই আমাদের খাইলো"- এর মত সহজ ফ্রেইজ অবলীলায় বলে ফেলি। সত্যিই, হিন্দি মুভি আমার খুব একটা পছন্দেরও নয়। না, সিনেমার মান বা ঐরকম কোন গভীর ব্যাপার নেই। একটাই কারণ, এত দীর্ঘ সময় ধরে একটা ছবি দেখার মত ধৈর্য রাখতে পারি না।

উশখুশ করি, এবং একসময় উঠে যাই। ফলত: ছবিটাই আর দেখা হয় না। এসবের মধ্যেও, মাঝে মাঝে সময় মিলিয়ে দুই বা তিনবারের চেষ্টায় বেশ কিছু ভালো ছবি দেখে ফেলি। আজ যেমন দেখলাম- ফির হেরা ফেরি। জটিল রকম মজার সিনেমা।

-------- একদম সোজা করে বললে, আমার ধরাণা, অমিতাভের পরে বলিউডের বেস্ট অ্যাক্টর নি:সন্দেহে পরেশ রাওয়াল। অসাধারন অভিনয় করেছেন তিনি। ফাটাফাটি ধরনের। যে উচ্চারণে কথা বলেছেন, সম্ভবত মহারাষ্ট্রিয় উচ্চারণ। পুরো ছবিটা একাই মাতিয়েছেন পরেশ।

শুরুতেই যেমন দেখায়- বিশাল একটা বাংলো বাড়ি কিনেছে তারা। সুনীল আর অক্ষয় টাকা পয়সা হাতে পেয়ে নিজেদের একটু আপগ্রেডও করেছে- কিন্তু পরেশ রাওয়াল যেমন ছিলেন তেমনই আছেন। সুইমিংপুলের পানিতেই গোসল করেন, তবে পানিতে নেমে নয়, পাশে দাঁড়িয়ে বালতি দিয়ে পানি তুলে তুলে। ছবির শুরুতেই দেখায় আবারো অক্ষয় লোভে পড়েছে, 21 দিনে টাকা দ্্বিগুন করার লোভ। (বাংলাদেশী ডেসটিনি 2000 এর কথা মনে পড়ে গেলো দেখে!) কিন্তু যথারীতি লোভের ফল পেলো টাকা মার খেয়ে।

দেখা গেলো সেই টাকা সে জোগাড় করেছিলো এক গ্যাংলিডার থেকে ধার করে। কিন্তু টাকা দ্্বিগুনের কোম্পানী হায় হায় কোম্পানীতে বদলে যাবার পর টাকা পাওয়ার জন্যে গ্যাংলীডার তাকে ধাওয়া করা শুরু করে। গ্যাংলীডার শুনতে ভয় লাগলেও- এ ছবিতে এইসব গুন্ডা পান্ডাদের দেখলেও হাসতে হাসতে পেট ফেটে যায়! সুনীলের তেমন কোন ভূমিকা নেই এখানে। অক্ষয়কে সঙ্গ দেয়া ছাড়া। আর অক্ষয়ও দারুন অভিনয় করেছেন।

অ্যাকশন হিরোদের কমিক চরিত্রে ভালো করবার রহস্য কি কে জানে! নায়িকা আছেন দু'জন, বিপাশা ও রিমি, সম্ভবত না থাকলে কেমন দেখায়-সে কারণে। উপরি হিসাবে দিয়া মির্জাও আছেন, শুরুতেই একটা আইটেম গানে। এবং, বলা বাহুল্য- এ গানটার আগে কখনো তাকে আইটেম বলে মনে হয়েছিলো কিনা মনে করতে পারছি না। জনি লিভার আছেন, আর ঐ ছোট করে লোকটা, নাম ঠিকঠাক জানি না, কিন্তু অভিনয় সবাই চেনে, এটা নিশ্চিত। সব মিলিয়ে মজার একটা মুভি।

নিখাদ আনন্দের। ভাবনা চিন্তার কোন জটিলতা নেই। হাসবার আগে ভুরু কুঁচকে ভাবতে হয় না- হাসবো কেন? জাস্ট গলা খুলে হেসে ফেলা যায়। আজ সময় ছিল হাতে, ইচ্ছে করলে একটানা দেখেও ফেলতে পারতাম। তবু, দেখিনি।

কারন, একটানা এত লম্বা সময় ধরে গলা ছেড়ে হাসার ধকল এই বুড়ো বয়সে শরীরে পোষাবে না বলেই মনে হলো। যাদের পোষাবে, তারা এক্ষুনি বসে যেতে পারেন। হাসলে নাকি শরীর ভালো থাকে- এমনটা শুনেছিলাম। যদি সত্যি হয়, তবে ব্যায়াম করার জন্যে এর চেয়ে ভালো মুভি পেতে আরো বেশ কিছু দিন সময় লেগে যাবে। অতএব, ডোন্ট মিস!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.