পাকিস্তান, চীন ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। গত ২০ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর এবং টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন বা সাড়ে ২৪ লাখ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। খালাসের অপেক্ষায় আছে আরও কয়েকটি চালান। ভারত থেকে আমদানি কম হওয়ায় এখন মূলত পাকিস্তান ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারের ভরসা বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, বাজারে এই তিন দেশের পেঁয়াজের সরবরাহ সামান্য বাড়লে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে যায়।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। গত রোববার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে বাজারজাত হওয়ার পর গতকাল সোমবার পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার প্রতি কেজি ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭২ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিয়ানমারের পাশাপাশি পাকিস্তানের পেঁয়াজ বাজারজাত হওয়ায় দাম কমার কারণ বলে তিনি জানান। ব্যবসায়ীরা জানান, এখন ভারতীয় ও মিয়ানমারের সাধারণ মানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
পাকিস্তানের পেঁয়াজ মানভেদে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা এবং ৬০-৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। সাধারণ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাকিস্তান ও চীন থেকে এবং টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। গত ২০ দিনে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাইফুল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত দেড়-দুই বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক টন পেঁয়াজও আমদানি হয়নি। তবে এখন প্রতি সপ্তাহেই পেঁয়াজের চালান খালাস হচ্ছে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।