অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
আমি নরকের ছাপাখানায় গিয়ে দেখলাম কিভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম গহবরে ড্রাগনমানব গুহার মুখের আবর্জনা সাফ করছিলো, ভেতরে অনেকগুলো ড্রাগন গুহার ভেতরটা ফাঁকা করছিলো।
দ্্ব ীতিয় গহবরে ছিলো কাল নাগিনী, পাথর এবং গুহাকে বেষ্ঠন করে, আর অন্যেরা রত্ন মানিক্যে সে গুহার অলংকরন করছিলো।
তৃতীয় গহবরে ছিলো এক ঈগল যার ডানা আর পালক বাতাসের, আর সে গুহার ভেতরটা অসীম মনে হচ্ছিল, অনেক ক'জনা যারা ঈগলের মতোই, খাঁড়া ঢালে প্রাসাদ বানিয়েছে।
চতুর্থ গহবরে ছিলো প্রজ্বলিত অগি্নর মতো এক সিংহ, যার আঁচে সব ধাতু গলে জীবন্ত তরল হয়ে গেলো।
পঞ্চম গহবরে সব নামহীন কায়ারা গলিত তরল ধাতুকে ছড়িয়ে দিচ্ছিলো,
এবং ষষ্ঠ গহবরে এইসব সংগ্রহ করে মানুষেরা বইয়ে রূপান্তরিত করছিলো এবং লাইব্রেরিতে সাজিয়ে রাখছিলো।
মহৎ মানুষেরা,যারা তাদের ইন্দ্রিয়বিলাসে এই পৃথিবী তৈরি করেছে এখন বোধ হয় শৃংখলাবদ্ধ, আর সত্য হলো, সব প্রাণোচ্ছলতা আর কর্মঠতার উৎস এই ইন্দ্রিয়বিলাস, আর শেকল হলো দুর্বলের চাতুর্য আর নির্জ ীব মনন, যা শক্তিকে অসার করে দেয়, সেই প্রবচনের মতোই, যার সাহসে ঘটতি সেজন চতুর অতি।
সুতরাং অস্তিত্বের একটা অংশ বহুপ্রজ, অন্যটা আগ্রাসী খাদক, আর খাদকের ধারনা উৎপাদক তার অনুগত দাসানুদাস, কিন্তু এটা সঠিক না, বরং খাদক তার অস্তিত্বের অংশ গ্রহন করে এবং বাকীটা তার উদ্ভট কল্পনা।
বহুপ্রজের অস্তিত্বসংকর হবে যদি না খাদক সমুদ্্রের মতো তার অতিপ্রজ অংশকে গ্রহন না করে। কেউ কেউ হয়তো বলবে একমাত্র ইশ্বরই সব কিছুর জন্ম দেয়,? আমার উত্তর ইশ্বর শুধুমাত্র জীবন্ত এবং মানবের মধ্যেই প্রতিভাত হয় এবং সেখানেই ক্রািয়া করে।
এই খাদক আর উৎপাদক শ্রেনীর মানুষ সবসময়ই পৃথিবীতে জন্মায় এবং তারা পরস্পরের শত্রু, আর যারা এদের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করে তারা আসলে আমাদের অস্তিত্বের বিনাশ চায়।
ধর্ম এই দুই বিরোধি শক্তির সমঝোতার একটা প্রয়াস, নোটঃ যীশু এই দুই শক্তির ঐক্য কামনা করে নাই, বরং তাদের আলাদা রাখতে চেয়েছে, যেমন ভেড়া আর ছাগলের গল্পকথায় প্রতিভাত হয়, এবং বলেছেন, আমার আগমন শান্তি কল্যানের জন্য নয় বরং আমি একটা তরবারী দিতে এসেছি।
পরিত্রাতা বা শয়তান বা এই অনুভবআমাদের শক্তি সম্পর্কিত অতিপ্রাচীন ধারনা।
এক দেবদুত এসেছিলো আমার কাছে, এসে বললো, ওহে অর্বাচীন যুবক, কি ভয়ানক! কি বীভৎস অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছো তুমি এই শিল্পের চর্চা করে ,অনন্ত অগি্নকুন্ডে আজীবন দগ্ধ হওয়ার অমিত সম্ভবনা জাগাচ্ছো তুমি তোমার শিল্পসাধনায়,।
আমি বললাম, হয়তো তুমি আমাকে আমার অনন্ত পরিনতির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাও, আর আমরা দুজনই প্রতীক্ষা করবো সেই অনন্ত পরিনতির এবং অতঃপর দেখবো কার পরিনতি কার কতটা কাম্য,
তাই সে আমাকে নিয়ে গেলো আস্তাবলে,সেখানে থেকে গীর্যায়, গীর্যার সিন্দুকের শেষে শস্যকল, সেই শস্যকলের ভেতর দিয়ে অবশেষে গুহার সামনে, িেস গুহার অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে আমদের ক্লান্তিকর ভ্রমনের শেষে আমদের পায়ের নীচে অসীম আকাশের মতো সীমাহীন শুন্যতা, আমরা কোনোমতে গাছের শেকড় ধরে ঝুলে আছি সেই শুন্যতার উপরে, আমি দেবদুতকে বললাম যদি তোমার মর্জি হয় তাহলে আমরা এই অসীম গহবরে আমাদের নিবেদন করতে পারি, দেখা যাক এখানেও ইশ্বরের বিধানপ্রচলিত কিনা? ধৃষ্টত া দেখিও না অর্বাচীন যুবক, এই অন্ধকার কেট গেলেই তোমার নিয়তির দর্শন তুমি পাবে- দেবদুত আমাকে জানালো।
আমি ওকের বাঁকাচোরা শেকড়ে বসে নিয়তির প্রতীক্ষারত, আর সে ছত্রাকাকের গোড়া ধরে ঝুলে ছিলো।
******
ইচ্ছা ছিলো এ সপ্তাহেই শেষ করবো এই যন্ত্রনা, মধ্যযুগীয় ইংরেজি গিলতে কষ্ট হয়। অনেক শব্দই এখন ডিকশনারি থেকে হারিয়ে গিয়েছে, অনেক শব্দই ব্যাবহৃত হয় না বলে মৃত। এই সব মৃত শব্দের সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুভুতি হচ্ছে, আবার অনেক সময়ই মনে হচ্ছে আক্ষরিক অনুবাদটা সঠিক না, মানে সম্পুর্ন ভাবটার সাথে শব্দের অনুবাদটা ঠিক যায় না। যেমনটা এখানে- আস্তাবল- চার্চ, চার্চের ভেতর দিয়ে শস্যকল, শস্যকলের ভেতর দিয়ে বিস্তৃর্ন শুন্যতা- আমার ভাবনায় বলে আস্তাবল এসেছে যীশুর জন্মস্থান হিসেবে, যেখানে যীশুকে দেখতে হাজির হলো প্রাচ্যের বিজ্ঞেরা, সেখান থেকে চার্চের পথ, চার্চের সিন্দুক মানে মূল কথার আড়ালে আসলে জীবনকে ফলবান করে তোলার একটা প্রচ্ছন্ন ইচ্ছা, সেই ফলবন্ত হওয়ার ইচ্ছার সাথে কিভাবে শুন্যতা চলে আসে সেই অন্ধকার চেতনার গুহা, সেখানে পথ হাতড়ে বেড়ানো মানুষ অবশেষে শুন্যতা খুঁজে পায়, মানে প্রচলিত প্রার্থনায় ইশ্বরের বিধান নেই, ইশ্বরের সম্পুর্ন ধারনাটাই একটা ফাঁকি- হয়তো সত্যি, অন্ধকার একটা অনুবাদ হচ্ছে এটা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।