অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
নবী ইশিয়াহ এবংইজাকায়েলের সাথে নৈশ্যাহারের সময় আমি তাদের বললাম, তোমরা কিভাবে এমন নিশ্চিত ভাবে বললে যে তোমাদের সাথে ইশ্বরের কথোপকথন হয়েছে? তোমাদের মনে কি এই কল্পনাও আসেনি যে তোমাদের ভুল বুঝবে এবং এর জন্য তোমাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে?
ইশিয়াহ উত্তরে বলেছিলো, আমি কোনো ইশ্বর দেখি নি, কোনো ইশ্বরের স্বরও শুনি নি,ইন্দ্রিয়জাত অনুভব বিবেচনা করলে, কিন্তু আমার অনুভবে আমি সবকিছুতেই অসীমতা দেখেছি, এবং আমার দৃঢ় ধারনা হয়েছে এই সৎ রোষ হলো ইশ্বরের কণ্ঠস্বর, তাই পরিনাম চিন্তা না করেই আমি লিখেছি।
আমি প্রতু্যত্তরে তাকে বললাম, কেউ যদি কোনো বিষয়ে দৃঢ় ধারনা পোষন করে তাহলে কি সেই বিষয়টা সত্য হয়ে যাবে?
সে উত্তরে বললো, সব কবিই এমন ধারনা পোষণ করে হৃদয়ে, কল্পনার সময়ে দৃঢ় ধারনা কখনও কখনও পর্বতকেও স্থানচু্যত করেছে, কিন্তু সবার ভিতরে এই দৃঢ় ধারনাপোষণের ক্ষমতা থাকে না।
ইজাকিয়েল এর পর বললো, প্রাচ্যের দর্শন প্রথম মানুষের অনুভবই ইশ্বর কল্পনা-এ শিক্ষা দেয়, কনো কোনো জাতি একটা ধারনাকে গ্রহন করে অন্য জাতিরা অন্য কোনো ধারনাকে, আমরা ইসরাইলের সন্তানেরা কবিসৃজনশীলতাকে ইশ্বর ধারনা করি, এবং বাকী সবই এই ধারনাউদ্ভুত বিষয়। তাই আমরা অন্য দেশের অন্য ধর্মের পুরোহিত অএবং দার্শিনিকদের অবজ্ঞার চোখে দেখি, এবং প্রমানের করি অন্য সব ধর্মের ইশ্বরই আমাদের কল্পিত ইশ্বরজাত হবে এবং সবাই আমাদের ইশ্বরের আনুগত্য স্ব ীকার করবে। এই প্ররোচনায় অন্ধ আমাদের মহান কবি ও সম্রাটের তীব্র কামনা এবং ঐকান্তিক আহবান যে সে ইশ্বরের নামে রাজ্য দখল করে ও ইশ্বরের নামে রাজ্য শাসন করে।
আমাদের ইশ্বরমত্ততা এমন অন্ধ যে আমরা আমাদের পাশর্্ববর্তি সকল জাতির উপাস্যদের ইশ্বরের নামে অভিসম্পাত করি এবং তাদের ধর্মবিশ্বাসকে আমাদের ইশ্বরের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষনা করি, এবং এি অভিমতের ভিত্তিতে কতিপয় ইতরের দৃঢ় ধারনা জন্মায় যে সকল জাতি ইহুদিদের আনুগত্য স্ব ীকার করবে।
সকল মানুষ ইহুদিদের উপাস্যের উপাসনা করবে এবং তাদের জীবনাচার মেনে চলবে এমন দৃঢ় ধারনার তুলনায় ভয়ংকর অন্য কোনো দমননীতি নেই।
আমি আগ্রহ নিয়ে ইজাকিয়েলের কথা শুনলাম এবং স্ব ীকার করতে হবে যে আমিও এ ধারনায় বিশ্বাস করিনৈশাহার শেষে আমি ইশিয়াহকে বললাম তোমার হারানো সাহিত্যকর্ম দিয়ে পৃথিবীকে অনুগ্রহ করো। সে বললো এর সমতুল কিছুই হারিয়ে যায় নাই, ইজাকিয়েলও তার সাহিত্য নিয়ে এমন কথাই স্ব ীকার করলো।
আমি ইশিয়াহকে জিজ্ঞাসা করলাম , কিজন্য তুমি নগ্ন হয়ে এবং খালি পায়ে 3 বছর কাটিয়েছে? উত্তরে সে আমাকে বললো, যে কারনে আমাদের বন্ধু গ্র ীসের ডিওজিনিস এ কাজ করেছিলো।
আমি ইজাকিয়েলকে প্রশ্ন করলাম,কেনো সে গোবর খেয়ছিলো এবং কেনো সে ডানে এবং বামে কাত শুয়ে ছিলো এতটা দীর্ঘ সময়?
সে উত্তরে বললো মানুষের চেতনার উন্মেষে এমন আচার পালন করে উত্তর আমেরিকার আদিবাসিরাও এবং কেউ যদি বর্তমানের স্বাচ্ছন্দ্য এবং সন্তুষ্টি লাভের দোহাই দিয়ে নিজের সৃজনশীলতা বা চেতনাকে বাধা দেয় সে কি সৎ?
পুরোনো কল্পনা মতে 6000 বছর পরে পৃথিবী আগুনের গ্রাস হবে এ কথা সত্য, এমনটাই আমি নরকের শুনেছি।
জ্ঞানবৃক্ষের পাহাড়াদার আগুনের তরবারি ধারি দেবদুতকে আদেশ দেওয়া হলো সে যেনো এটার পাহাড়া ছেড়ে যায়, এবং যে সখনই পাহাড়া থেকে বিদায় নিবে তখনই সমস্ত সৃষ্টি আগুনের দখলে যাবে, আর অসীমতা পাবে এবং শুচিতা বর্তমানে সীমিত ও কলুষিত।
ইন্দ্রিয়সুখের দ্্বারাই এমনটা ঘটবে। কিন্তু এর আগে মানুষের আত্মাভিন্ন একটা দেহ বিদ্যমান এ ধারনাকে পরিত্যাগ করতে হবে। এবং আমিই তা করবো, উপরের প্রলেপ মূছে দিয়ে ভেতরের সত্যকে উদঘাটনের কাজটা আমি করবো নরকের আগুনে।
যদি চেতনার দুয়ার খুলে দেওয়া হয় তাহলে মানুষ সব কিছুকেই তার স্বরূপে দেখতে পাবে, সেই স্বরূপ অবিনশ্বর-অসীম। মানুষ নিজের খন্ডিত করে চাদরের আড়ালে আর সেই চাদরের ক্ষুদ্্র ফাঁক দিয়ে পৃথিবী দেখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।