অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
জঘন্য হচ্ছে লেখাটা, কিন্তু এখন এটায় হাত বুলিয়ে রাখি, পরে পরিচর্যা করবো-
সুমন অনুবাদে যেটার খামতি থাকে তা হলো আমরা ইংরেজিতে পড়ার সময় নিজেদের শব্দ দিয়ে নিজের ভিতরে কবিতা পূনর্নির্মান করি, অনুবাদ যদি আমাদের সেই পূর্বমানের কাছাকাছি না যায় তাহলে আমরা সেটাকে সঠিক অনুবাদ মনে করতে পারি না।
ভাবানুবাদ এজন্য অনেক সুবিধাজনক। ভাবটা ঠিক রেখে, নিজের মতো শব্দ ছন্দ মিলিয়ে যাওয়া, আর অন্য যেই বিষয়টা মনে হচ্ছে তা হলো শব্দতারল্য, এই ধরনের কবিতা লিখতে মধুসুধনের বিছরিল, বৃষ্টিল জাতিয় প্রত্যয় ব্যাবহার করা দরকার, তা একটা গাম্ভির্য আনে লেখায়- কিন্তু আমি কখনই মধুসুধন তেমন ভাবে পড়ি নাই- অনুকরণ সম্ভব না।
শয়তানের ভাষ্য
প্রতিটা ধর্মগ্রন্থ আর পবিত্র পুস্তিকা নিম্নলিখিত ভুলগুলোর কারন
1. মানুষের 2টা স্পষ্ট অস্তিত্ব বিদ্যমান, যথা দৈহিক এবং শাররীক।
2. শক্তি,যা অশুভ, শুধুমাত্র শরীর থেকে উদ্ভুত, এবং যুক্তি ,যা শুভ, আত্মা থেকে উৎসরিত।
3. ইশ্বর মানুষকে অনন্তকাল নিগৃহীত করবেন যদি সে তার শরীরের দাসত্ব করে।
কিন্তু এর সাথে আরও কিছু বৈপিরিত্বও বিদ্যমান যা সত্য
1। মানুষের আত্মাবিচ্ছিন্ন কোনো দেহ নেই, আমরা যাকে শরীর বলে অভিহিত করি তা আত্মার অংশ, পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের দ্্বারা আমরা যার অস্তিত্ব নির্ধারন করি, বর্তমানে এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়জাত অনুভবই আত্মার বাহক।
2. শক্তিই জীবন এবং তা শরীরজাত, যুক্তি পক্ষান্তরে শক্তির সীমা বা এর আবরন।
3. শক্তিই চিরন্তন পূলক।
যারা কামনা সংযত করে করে তারা দূর্বলবিধায় সংযত; যুক্তিকে বাধাগ্রস্থাকরী চেতনা সেই অবস্থান জবরদখল করে এবং ািনিচ্ছাকে পরিচালিত করে।
এবং ক্রমশ সংযত ,বাধাগ্রস্থকরার কারনে তা দূর্বল হতে হতে কামনার ছায়ায় পরিনত হয়।
এই ইতিহাস লিখিত আছে প্যারাডাইস লস্টএ এবং যুক্তির হর্তাকর্তাকে মেসিয়াহ (পরিত্রাতা) বলা হয়।
প্রধান দেবদুত বা স্বর্গাধিপতির উত্তরসূরি শয়তান, যার সন্তান হলো পাপ ও মৃতু্য।
কিন্তু মিলটনের বইয়ে পরিত্রাতাকে বলা হয়েছে শয়তান।
দু পক্ষই এই ইতিহাস গ্রহন করেছে।
কামনাকে বর্জন করা হয়েছে আপাতদৃষ্টিতে এমনটা মনে হতে পারে, কিন্তু শয়তানের ভাষ্যে পরিত্রাতা পতিত হয়েছিলো এবং একটা আলাদা স্বর্গ তৈরি করেছিলো যা সে চুরি করে এনেছিলো অনন্ত পাতাল থেকে।
এটা গসপেলে লিখিত আছে ,যেখানে সে পরম পিতার কাছে প্রার্থনা করে পবিত্র আত্মা বা কামনার আগমনের যেখানে কার্যকারণ তার অবয়ব নির্মান করতে পারে, বাইবেলবর্নিত জিহোভা অগি্নস্লানরত ভিন্ন অন্য কেউ নন।
যিশূর মৃতু্যর পর সেও জিহোভায় পরিনত হয়।
কিন্তু মিলটনের লেখায় পরম পিতা নিয়তি, পুত্র পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের অনুপাত, আর স্রষ্টা শুন্যতা।
স্মরণীয় কল্পনা
যখন আমি নরকের আগুনের উপর দিয়ে হাঁটছিলাম,াপন সৃজনশীলতার আনন্দে উদ্ভাসিত,; যা অপরাপর দেবদুতের কাছে ক্লেশের বর্হিপ্রকাশ বা উন্মত্ততাভ্রাত হচ্ছিল।
আমি নরকের কিছু প্রবাদ সংগ্রহ করি, ভাবছিলাম দেশের বুলি যেমন দেশের চরিত্রধারন করে,তেমনই নরকের প্রবাদগুলো নরকের আঙ্গিক গঠনের তুলনায় ভালো ভাবে নরককে প্রকাশ করতে পারবে।
যখন আমি ঘরে ফিরে আসলাম, অতল গহবর থেকে ইন্দ্রিয়ের পাখায় ভর করে, যেখানে সমতলীয় পৃষ্টের খাঁড়া ঢাল বর্তমানকে ভ্রুকুটি করে। আমি শক্তিশালী এক শয়তানকে কালো মেঘের গুঁটিয়ে যেতে দেখলাম কালো মেঘের অন্তরালে,পাহাড়ের পাশে ভেসে ভেসে ক্ষয়িষ্ণু আগুনে লেখা তার বানী এখনও পৃথিবীর মানুষের চেতনা দখল করে আছে। তারা এই বাক্য পাঠ করে।
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে বাধা থেকে তুমি কিভাবে বুঝবে, বাতাস কেটে উড়ে যাওয়া প্রতিটা পাখিই অপার শান্তির জগত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।