অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
প্রাচীন ইংরেজি শব্দ মোটেও আধুনিক রূপে ব্যাবহৃত হয় না। আর আমার ক্ষুদ্্র জ্ঞানে যতটা সফল ভাবে সম্ভব অনুবাদের চেষ্টা করেছি। অনেক ভাবধারাই হয়তো পরিস্কার নয়,
নরকের প্রবচনগুচ্ছ
রোপনে শেখো, নবান্নে শেখাও, আর অনুর্বর শীতে উপভোগ করো।
তোমার গাড়ী ও লাঙল চালাও মৃতের বুকের উপর দিয়ে।
জ্ঞানের প্রাসাদ অপরিনামদর্শিতার রাস্তার শেষে।
পরিনামদর্শিতা হতচ্ছিরি বুড়ী, অক্ষমতা যার প্রনয়বাঞ্ছা করে।
কামনা দমন করে যে সে সমাজে মহামারী আনে।
লাঙলে কাটা পড়া কেঁচো সর্বদা লাঙলকে ক্ষমা করে দেয়।
যে পানি ভালোবাসে তাকে নদীটে চুবাও।
নির্বোধ আর জ্ঞানী একই গাছ দেখে না।
যার মুখমন্ডল আলোকিত না সে নক্ষত্র হতে পারবে না।
অনন্তকাল সময়ের জাতককে ভালোবাসে।
ব্যাস্ত মৌমাছির দুঃখবিলাসের সময় নেই।
মুঢ়তার কাল ঘড়িতে মাপা যায় তবে বিজ্ঞতা সময়ে মাপা যায় না।
ফাঁদ পেতে সাস্থ্যকর খাবার ধরা যায় না।
উৎপাদন আকালের মাপে মাপা হয়।
পাখি নিজের ডানায় কখনই খুব উঁচুতে উড়ে না।
মৃতদেহ বদলা নেয় অনিষ্ঠ নয়।
অন্যকে সামনে এগিয়ে দেওয়ার মতো মহৎ কাজ নেই।
নির্বোধ মুঢ়তার চর্চা করলে একদিন জ্ঞানী হতে পারে।
মুঢ়তা প্রতারনার চাদর।
লজ্জা অহংকারের আবরন।
আইন কারাগার নির্মান করে ,ধর্ম বেশ্যালয়।
ময়ুরের অহংকার ইশ্বরের মহিমা।
ছাগলের লালসা ইশ্বরের উদারতা।
সিংহের প্রতিহিংসা ইশ্বরের বিজ্ঞতা।
নারীর নগ্নতা ইশ্বরের সৃষ্টি।
অধিক দুঃখে মানুষ হাসে আর অধিক সুখে মানুষ কাঁদে।
সিংহের গর্জন, নেকড়ের হুঙ্কার, সমুদ্্রের উন্মত্ততা, আর ধংসউন্মুখ তরবারী মানুষের চোখে পরকালের মহৎ নিদর্শন।
শেয়াল ফাঁদকে অভিসম্পাত করে নিজেকে নয়।
আনন্দ নিষিক্ত করে দুঃখ জন্ম দেয়।
পুরুষকে সিংহের চামড়া প ড়াও আর মেয়েদের ভেড়ার লোম দিয়ে মুড়ে দাও
পরিচয়ঃ পাখীর নিবাস, মাকড়সার জাল আর পুরুষের বন্ধুত্ব।
স্বার্থপর হাস্যমুখী নির্বোধ আর বিষন্ন ভ্রুকুঞ্চিত নির্বোধ, দুজনকেই জ্ঞানীর পরিমাপ হিসেবে ব্যাবহার করা চলে।
যা আজ প্রমানিত সত্য একদা টা শুধু কল্পনায় ছিলো।
ছুঁচো ইঁদুর খরগোশ শেয়াল শেকড় খুঁজে মরে
হাতি ঘোড়া, বাঘ সিংহ ফলাফল বিবেচনা করে।
চৌবাচ্চা ধারন করে ঝর্ণা উপচে পড়ে।
মানুষের চিন্তা অসীমকে ধারন করে।
যদি অসংকোচে নিজের ভাবনা জানাও তবে কূৎসিত ব্যাক্তিরা তোমাকে এড়িয়ে চলবে।
বিশ্বাসযোগ্য সবকিছুই সত্যের একটা প্রতিরূপ।
যখন ঈগল কাকের সাথে বচসা করে তখনই তার সবচেয়ে বেশী সময়ের অপচয় হয়।
শেয়াল নিজের খাদ্য খোঁজে আর ইশ্বর সিংহের জন্য খাবার পাঠান।
সকালে চিন্তা করো, দুপুরে কাজ করো সন্ধ্যায় খাও আর রাতে ঘুমাও।
যে তোমার উপর নিজেকে চাপিয়ে দিয়েছে সে তোমাকে সবচেয়ে ভালো চিনে।
যেহেতু মুখের কথায় লাঙল চলে তাই ইশ্বর প্রার্থনার পেতিদান দেন।
বাঘের প্রতিহিংসা ঘোড়ার উপদেশের তুলনায় প্রাজ্ঞ।
অনড় জলে বিষাক্ততার বাস।
পর্যাপ্ততার নিদান পেতে হলে জানতে হবে পর্যাপ্ততার আধিক্য কি?
নির্বোধের ভর্ৎসনা নিঃসন্দেহে রাজার মুকুট।
আগুনের চোখ, বাতাসের নাক, জলের মুখ আর পৃথিবীর খাদ্য।
ভীতু মানুষ কুটকৌশলে শক্তিশালী।
বৃক্ষ ভূমির কাছে জানতে চায় না কিভাবে সে বেড়ে উঠবে, সিংহ ঘোড়ার কাছে জানতে চায় না কিভাবে সে শিকার করবে ।
কৃতজ্ঞ গ্রহীতার ফলন ভালো।
যদি অন্যরা নির্বোধ না হয় তবে আমাদের তাই হতে হবে।
মধুর পুলকিত আত্মা কখনই কলুষিত হয় না।
যখন কেউ ঈগল দেখো মাথা তুলে তাকাও কারন তুমি মহৎ একটা নিদর্শনের সামনে দাঁড়িয়ে।
শুয়োপোকা পরিচ্ছন্ন পাতায় ডিম পাড়ে আর পুরোহিত নির্মল আনন্দে অভিসম্পাত করে।
একটা ফুল ফোটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম লাগে।
আঁটো বন্ধনী এড়িয়ে প্রশান্তিকে অবগাহন করো।
নতুন পানির স্বাদ আর পুরোনো মদের স্বাদ সবচেয়ে ভালো।
প্রার্থনা লাঙল চালিও না, স্তাবকেরা আহরন করো না
আনন্দ হেসো না, দুঃখ কেঁদো না।
মস্তিস্ক মহিয়ান, হৃদয় করুন রস,যৌনাঙ্গ সৈন্দর্য্য আর হাত পা সুষমাময়।
আকাশ পািিখর নিবাস, সমুদ্্র মাছের ঠিকানা তেমনই অবজ্ঞা ঘৃনিতের নিবাস।
কাকের কামনা সব কালো হবে, পেঁচার কামনা সব সাদা হবে।
উচ্ছলতা সৈন্দর্য্যের প্রকাশ।
যদি সিংহকে শেয়াল পরামর্শ দেয় তাবে সে ধুর্ত হবে।
সংকীর্ন পথ প্রগতির নিদর্শন তবে শ্র ীহীন বন্ধুর পথ প্রতিভাবানের কাম্য।
অক্রিয় কামনার প্রতিপালন করার চেয়ে তাকে অঙ্কুরে হত্যা করা উত্তম।
যেখানে মানুষ নেই প্রকৃতি বিরান।
সত্য কখনই বোধগম্য ভাবে প্রকাশ করা যায় না, এবং কখনও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করা যায় না।
যথেষ্ঠ!! নাকি অতিরিক্ত!!
নদী, অরন্য জনপদ, নগর, হ্রদ, যে নামেই ডাকো না কেনো, প্রাচীন কবিদের চেতনায় ও কল্পনায় যা কিছু মূর্ত ছিলো সবাইকেই সে ইশ্বরের প্রতিরূপকল্পনা করেছে। তার কল্পনার অসীমতা যতটা ধারন করতে পারে ততটাকেই ইশ্বরের সীমা নির্ধরন করেছে তারা।
এবং তাদের মানসকল্পনায় ইশ্বরের চেতনার জন্ম হয়, প্রতিটা নগর ও জনপদ পত্তনের ইতিহাসে তারা ইশ্বরের ছাপ খুঁজে পেয়েছে,
অবশেষে প্রথার জন্ম, এবং কিছু মানুষ এই নিয়মবদ্ধতার সুযোগে বিমূর্ত চেতনাকে কলুষিত গন্ডিবদ্ধ করে পুরোহিততন্ত্র তৈরি করলো।
কবির কবিতা থেকে প্রার্থণার ধাঁচ চুরি করে,
অবেশেষে তারা ঘোষণা করলো ইশ্বরের আদেশেই সবকিছুর সৃষ্টি
এবং অতঃপর তারা মানুষের হৃদয়ের ইশ্বরকে ভুলে গেলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।