কয়েক কোটি টাকার পাথর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সিলেটের বিছনাকান্দির কোয়ারির পাথর ব্যবসায়ীরা। নাজুক নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তারা পাথর বিক্রি করতে পারছেন না। নদীর নাব্যতা হ্রাস ও ভঙ্গুর সড়ক যোগাযোগের কারণে কোয়ারি এলাকা থেকে পাথর পরিবহন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত নদীতে পানি কম থাকায় ওই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন করে মজুদ করে রাখেন। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বাড়লে মজুদকৃত পাথর নৌ ও সড়ক পথে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ বছর কম বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে পাহাড়ি ঢল না নামায় পিয়াইন নদীর পানি কমে যায়। নাব্যতা সংকটে পিয়াইন নদী দিয়ে বড় কার্গো চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে নদীপথে পাথর পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কিছু ব্যবসায়ী ছোট কার্গো দিয়ে কোয়ারি থেকে পাথর এনে পাশর্্ববর্তী বগাইয়া, হাদারপাড়, লামা হাদারপাড়, ভেড়িবিল ও পীরেরবাজারসহ আশপাশ এলাকায় মজুদ করেন। কিন্তু সিলেট-গোয়াইনঘাট ও সিলেট-পীরেরবাজার সড়কের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ায় এসব রাস্তা দিয়ে ট্রাক চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে সড়ক পথেও পাথর পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সিলেটের বাইরের ব্যবসায়ীরাও বিছনাকান্দি থেকে পাথর কিনতে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে মজুদকৃত পাথর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে বিছনাকন্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল হক বলেন, নদীতে পানি সংকট ও ভঙ্গুর সড়ক ব্যবস্থার কারণে সিলেটের বাইরের ব্যবসায়ীরা বিছনাকান্দি থেকে পাথর কিনছেন না। আগামী নভেম্বর মাস থেকে পাথর সংগ্রহের মৌসুম শুরু হবে। এর আগে মজুদকৃত পাথর বিক্রি সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির সুমন বলেন, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পাথর মজুদ করে থাকেন। এবার পাথর বিক্রি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ শোধ করতে পারছেন না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।