সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতার তদন্তের কাজ জোরগতিতে চলছে। বাদল রায়ের নেতৃত্ব দেওয়া এই কমিটি প্রথমদিনে ফিজিও, গোলরক্ষক প্রশিক্ষক, দলনেতার জবানবন্দি নেন। পরে চার ফুটবলার অধিনায়ক মামুনুল, এমিলি, মিশু ও ওয়ালি ফয়সালের কাছেও ব্যর্থতার কারণ জানতে চান। আজ আবার দুই কোচ লোডডিক ক্রুইফ, রেনে কোস্টার ও ম্যানেজার ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। আগে যাদের সঙ্গে আলাপ করে কমিটি যে তথ্য পেয়েছে তাতে কোনো চমক ছিল না। কারণ ফুটবলার বা দলনেতা নিজ থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেননি। তবে কোচ ক্রুইফের কাছ থেকে কমিটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন। কারণ তিনি ছাড়া অন্য কেউ ভালোভাবে বুঝতে পারেননি মাঠে কার কেমন পারফরম্যান্স বা গাফলতি ছিল কিনা। টুর্নামেন্ট শেষের পরই ক্রুইফ কোনো কোনো খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে বিরক্ত প্রকাশ করেন। এমনকি মাঠের বাইরেও তাদের আচরণে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি।
ক্রুইফ বা রেনে কোস্টার তদন্ত কমিটির সামনে কি বলবেন তা তারাই জানেন। তবে এটা নিশ্চিত কোনো কোনো ফুটবলারের ব্যাপারে অভিযোগ তুলবেন? সেই অভিযোগটা আর কিছু নয়, তিনি বলবেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের জন্য মর্যাদাকর হলেও লক্ষ্য করা গেছে পা বাঁচিয়ে খেলতে। এরা কারা নিশ্চয় তিনি নাম উল্লেখ করবেন। অর্থাৎ ক্রুইফ তদন্ত কমিটির সামনে যা বলবেন তাতে কোনো কোনো ফুটবলার অসন্তুষ্ট হতে পারেন। অধিনায়ক মামুনুলতো বাদল রায়দের সামনে সরাসরি বলেছেন কারোর পা বাঁচিয়ে খেলার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া ক্রুইফ বা রেনে কোস্টারকে ঘিরে ফুটবলারদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও ফিজিও আর গোলরক্ষক প্রশিক্ষকের কাজে সন্তুষ্ট নন। বিশেষ করে কেউ কেউতো ফিজিও হিসেবে ইয়ামালিকে যোগ্যই মনে করেন না। সাতদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। সেই রিপোর্টে কি প্রাধান্য পাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কোচ যদি কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন সেটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কিন্তু কমিটি থেকে আবার বলা হচ্ছে শুধু খেলোয়াড় কেন এখানে কোচ বা কর্মকর্তারা দোষী হয়ে থাকলে তাও তুলে ধরা হবে। কমিটি মুখে যাই বলুক না কেন, রিপোর্টে ক্রুইফ বা কোস্টারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে পারবেন না। এখানে তারা বড় জোর ফিজিও বা গোলরক্ষক প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। সেটাও যদি হয় তাহলে ক্রুইফের ভূমিকা তখন কি হবে তাও দেখার বিষয়। কারণ দু'জনাকে আনা হয়েছে ক্রুইফের কথায়। ক্রুইফ যদি দেখেন তার কাছের মানুষকে হেয় করা হচ্ছে তা নাও মানতে পারেন। আর এক্ষেত্রে তখন সভাপতিও সমালোচিত হতে পারেন। কারণ অনেকেই তখন বলতে পারেন যোগ্যতা না থাকার পরও এত পয়সা দিয়ে দু'জনাকে নিয়োগ দেওয়া হলো কেন? আসলে তদন্ত রিপোর্টে চূড়ান্তভাবে কি যে থাকবে এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।